লখনউ: চলতি সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা। তারইমধ্যে সরকারি বাংলো থেকে পাততাড়ি গোটানোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন উত্তরপ্রদেশের চার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, পদ ছেড়ে দেওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা সরকারি বাসভবন দখল করে রাখতে পারবেন না। এই নির্দেশ মোতাবেক এস্টেট বিভাগ রাজ্যের প্রাক্তন ছয় মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি, মুলায়ম সিংহ যাদব, কল্যাণ সিংহ, মায়াবতী, রাজনাথ সিংহ এবং অখিলেশ যাদবকে সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশ দিয়েছে।
তিওয়ারি ও মায়াবতী ছাড়া বাকি চার প্রাক্তন বাংলো ছাড়তে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তিওয়ারি অসুস্থ। তাই তাঁর স্ত্রী এস্টেট বিভাগের কাছে আরও সময় চেয়েছেন। উজ্জ্বলা তিওয়ারির আর্জি, জীবনের একেবারে 'প্রান্তবেলা'য় রয়েছেন তাঁর স্বামী।
মায়াবতী ১৩ এ মল অ্যাভিনিউর বাংলোটি বিএসপি প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরামের স্মৃতি সংগ্রহশালা বলে দাবি করায় বিতর্ক তৈরি হয়। মায়ার এই দাবি এস্টেট বিভাগ খারিজ করে দেয়। বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, যে ৬, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মার্গের বাসভবন মায়াবতী ছেড়েছেন, সেটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই মায়াবতী বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক তাঁর ৬, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মার্গের বাসভবন ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিভাগ বলেছে, এই বাংলোটি তিনি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিলেন। তাঁকে মল অ্যাভিনিউর বাংলোটি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ছাড়তে হবে।
অন্যদিকে, বিএসপির দাবি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের নোটিশে মায়াবতীকে ১৩ এ মল অ্যাভিনিউর বাংলোটি ছাড়তে বলা হয়েছিল, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মার্গেরটি নয়।ওই বাংলোটি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বরাদ্দ করা হয়েছিল।
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে বিএসপি প্রতিনিধিদল দাবি করে, মল অ্যাভিনিউর বাংলোটি ২০১১-তে কাঁসিরাম স্মৃতি সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ওই বাংলোর মাত্র দুটি ঘর ব্যবহার করেন মায়াবতী।
বাংলো খালির নোটি পাওয়ার পর গত ২১ মে সেখানে একটি বোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। বোর্ডে লেখা -'শ্রী কাঁসিরামজী ইয়াদগার বিশ্রামস্থল'।