কুলগাম (জম্মু ও কাশ্মীর): কাশ্মীরে জঙ্গি-নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে খতম চার জঙ্গি। নিহত ২ সেনা জওয়ান ও এক সাধারণ নাগরিকও।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের নওপোরা ইয়ারিপোরা এলাকার অন্তর্গত নগবাল গ্রামে রবিবার ভোরে শুরু হয় গুলির লড়াই। দিনের আলো ফুটতে না ফুটতেই গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয় বাসিন্দাদেরক। সেনা সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাতে খবর মেলে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে নাগাবাল গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে কয়েকজন জঙ্গি।
ভোরের আলো ফোটার আগেই গ্রামে পৌঁছে যান সেনা, আধা সেনা ও পুলিশকর্মীরা। কয়েকটি বাড়িকে চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলেন তাঁরা। তারপর শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি।
তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনও বাড়ি থেকে সন্দেহজনক কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু, পুলিশকর্মীরা এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, তাঁরা ফের একবার তল্লাশি চালাতে বলেন।
তল্লাশির জন্য ১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপকে নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয়। আবার বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে শুরু হয় তল্লাশি। এতেই ফল মেলে। একটি বাড়িতে ঢুকতেই তল্লাশি দলের নজরে পড়ে ফলস সিলিংয়ের ভিতরে কেউ নড়াচড়া করছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়।
সেনার তৎপরতা চোখে পড়তেই ফলস সিলিংয়ের ভিতর থেকে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গর্জে ওঠে সেনা জওয়ান ও পুলিশের রাইফেল।
গ্রামের ভিতরে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই। সেনা ও পুলিশের গুলিতে ২ হিজবুল ও ২ লস্কর জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদের সকলকে সনাক্ত করা গিয়েছে।
সেনা সূত্রে দাবি, এদের নাম মুদাসির আহমেদ তান্ত্রে ও বকিল আহমেদ ঠোকর (দুজনই লস্কর) ও ফারুখ আহমেদ ভট্ট এবং মহম্মদ ইউনিস লোন(দুজনই হিজবুল)। তাদের কাছ থেকে দুটি রাইফেল সহ আরও অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। আরও তিন জঙ্গি বাড়ির পিছনের জঙ্গল দিয়ে পালিয়ে যায়।
জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুই বীর জওয়ান। এঁরা হলেন -- ল্যান্সনায়েক রঘুবীর সিংহ এবং ল্যান্সনায়েক গোপাল সিংহ ভদোরিয়া। গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই গ্রামবাসীরও।



এদিকে এদিনের ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। নয়াদিল্লিতে তিনি বলেছেন,  এটা আর লুকোছাপার ব্যাপার নয় যে, ভারতের মাটিতে, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। অজস্র প্রমাণ আছে এর।