নয়াদিল্লি: পণ্য পরিষেবা কর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন পরিষদীয় কমিটি। সূত্রের খবর, সেখানে চারস্তরীয় কর ব্যবস্থার উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলি হল ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮। লক্ষ্য একটাই সার্বিক কর কমানো এবং অত্যাবশ্যক সামগ্রীকে এর আওতার বাইরে রাখা।

আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে চালু হতে চলেছে গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স বা পণ্য পরিষেবা কর। জানা গিয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি ও তামাকজাত পণ্য, পান মশলা এবং ঠান্ডা পানীয়কে সর্বোচ্চ (২৮ শতাংশ) করস্তরে রাখা হবে। একইসঙ্গে বসানো হবে সেস-ও।

অন্যদিকে, গরিব মানুষের স্বার্থ এবং মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রেখে খাদ্যশস্যের ওপর একেবারেই কর চাপানো হবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ওপর সর্বনিম্ন (৫ শতাংশ) কর চাপানো হবে।

এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বাধীন পরিষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সর্বোচ্চ করস্তরে থাকা সামগ্রীর ওপর অতিরিক্ত সেস বসানো হবে। যাতে করে তা বর্তমান করের সমান হয়।

যেমন, তামাকজাত পণ্যের ওপর বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কর বসে। অন্যদিকে, ঠান্ডা পানীয়ের ওপর কর বসে ৪০ শতাংশ। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে, তামাকজাত পণ্যের ওপর (৬৫-২৮ =৩৭) শতাংশ সেস বসবে। প্রসঙ্গত, গত বৈঠকে এই বিষয় নিয়েই ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়নি পরিষদ।

জেটলি জানিয়েছেন, যে সব সামগ্রীর ওপর বর্তমানে ৩০-৩১ শতাংশ কর বসছে, সেগুলিকেই সর্বোচ্চ স্তরে রাখা হবে। যদিও, এর মধ্যেও ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন, বহু এমন সামগ্রী রয়েছে, যেগুলি মধ্য ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারও ব্যবহার করে থাকে। ফলে, তাঁদের পক্ষে ৩০ শতাংশ কর অতিরিক্ত বোঝা হতে পারে।

পরিষদের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে ওই সব সামগ্রীকে ১৮ শতাংশের স্তরে রাখা হবে। এই তালিকায় রয়েছে সাবান, দাড়ি কামানোর সামগ্রী, টুথপেস্ট ইত্যাদি।

পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোন সামগ্রী কোন স্তরে থাকবে তা নির্ণয় করবে একটি পৃথক কমিটি। জানা গিয়েছে, বর্তমানে শুল্ক কর এবং ভ্যাটের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর চূড়ান্ত জিএসটি।