নয়াদিল্লি: সেপ্টেম্বরের শেষে ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়ে এলেও ফের সেখানে জড়ো হচ্ছে সন্ত্রাসবাদীরা, একাধিক শিবিরও ফের তৈরি করে ফেলেছে। এমনই হুঁশিয়ারি দিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ভারতে হামলা চালাতে প্রস্তুতি নেওয়ার ৪০-৪৫টি কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ রেখার ৫-৬ কিমি বরাবর নতুন করে গড়ে উঠেছে বলে খবর পেয়েছে তারা। এমনকী এও জেনেছে যে, ঘাঁটিগুলি পাহারা দিচ্ছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্তারা জানিয়েছেন, ২৯ সেপ্টেম্বরের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সময় ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া ঘাঁটিগুলিকে তড়িঘড়ি নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাক বাহিনী। ভারতে হামলা করার প্রস্তুতি শিবির অর্থাত লঞ্চিং প্যাডগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ রেখা, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বেশ দূরে অধিকৃত কাশ্মীরের ঘন জনবসতি এলাকায় সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।

ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে পাক জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর কার্যকলাপের ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখছে বলে গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে একটি সংবাদপত্র। এবার সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়বে বলে আশঙ্কা ভারতীয় এজেন্সিগুলির।

প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান তীব্র করায় কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গিদের সংখ্যা ২০০-য় নেমে এসেছে, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সীমান্তের ওপার থেকে রসদ পেতেও সমস্যা হচ্ছে। একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, শীতের মরসুমে যখন পাহাড়ি রাস্তা প্রবল বরফপাতের ফলে দুর্গম, যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে, তখন সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে ঢোকার চেষ্টা করার অর্থ, ওদের উঁচু, পাহাড়ি এলাকায় থেকে কার্যকলাপ চালানোর  প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিশেষ ট্রেনিং লাগে, যা পাক সেনাই দিতে  পারে। এ থেকে স্পষ্ট, পাকিস্তান রাষ্ট্র ভারত-বিরোধী নাশকতায় মদত দিয়ে পুষ্ট করে চলেছে জঙ্গিদের।