দেহরাদুন: হিমাচলপ্রদেশের সিমলায় টন্স নদীতে আছড়ে পড়বল যাত্রীবাহী বাস। এতে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এত ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা সাম্প্রতিককালে কমই হয়েছে।

মৃতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। ৭টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে এই দুর্ঘটনায়। বেসরকারি বাসটি বিকাশনগর থেকে ত্যুনি যাচ্ছিল। পথে নেরওয়া শহরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি নদীতে পড়ে যায়।

তবে অবিশ্বাস্য বেঁচেছেন বাস কন্ডাক্টর ও এক যাত্রী। পাহাড়ি রাস্তা থেকে বাসটি পিছলে নদীতে পড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে লাফিয়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

ত্যুনি যাওয়ার জন্য ভোর ৫টায় বিকাশনগর ছাড়ে বাসটি। ১২১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ ধরে সেটি আসছিল। বেলা ১১টা নাগাদ গুম্মা গ্রামের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ও বাস আছড়ে পড়ে ২৫০ মিটার নীচে টন্স নদীতে। চালক সহ ৭৪জন যাত্রীর মধ্যে ৪৫জনেরই মৃত্যু হয়।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাস কন্ডাক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, গুরুতর জখমরা পাবেন ৫০,০০০ টাকা করে। উত্তরাখণ্ড সরকার মৃতদের পরিবারকে দেবে ১ লাখ টাকা অর্থ সাহায্য, আহতরা ৫০,০০০।