কর্নাল: ৫০ ফুট গর্তের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেন। ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি রাখা হচ্ছিল গর্তে আটকে পড়া শিশুর প্রতিটি মুহূর্তের অবস্থান। ১০ ঘণ্টার প্রাণপণ চেষ্টার পর বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল সেই শিশুকে উদ্ধারও করে। তবে যতক্ষণে এই উদ্ধাকার্য শেষ হয়েছে, ততক্ষণে লড়াই শেষ শিশুর। ১৬ ঘণ্টা গর্তে থাকার পর বিপর্যয় মোকাবিলা দল যখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, চিকিৎসকরা ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনা হরিয়ানার কর্নাল জেলার।
রবিবার বিকেলে খেলতে খেলতে বাড়ির কাছেই একটি গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। কাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আজ সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অবশেষে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের ওপর দোষ চাপিয়েছেন কর্নালের বিধায়ক হরবিন্দর কল্যাণ। তিনি বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা দল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে দারুণ কাজের নিদর্শন রেখেছ। একই সঙ্গে এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মৃত শিশুর পরিবার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন। গর্ত খোলা অবস্থাতেই রেখে দিয়েছিল।”