জম্মু:চলতি বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এখনও পর্যন্ত জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার কয়েকজন প্রথমসারির কম্যান্ডার সহ ৫০ জঙ্গি মারা গিয়েছে। শুক্রবার সরকারি আধিকারিকরা এ খবর জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন নিরাপত্তা কর্মী। গত চার মাসে জঙ্গিরা নয়জন সাধারণ মানুষকে খুন করেছে।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বিস্তারিত জানাতে গিয়ে এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, খতম জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে জইশ, লস্কর ও হিজবুল মুজাহিদিনের প্রথমসারির কয়েকজন কম্যান্ডারও। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ৫০ জঙ্গি মারা গিয়েছে। এরমধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চলতি লকডাউন পর্বেই ১৮ জঙ্গি মারা গিয়েছে।
তিনি বলেছেন, গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার দিয়ালগম এলাকায় লস্করের মুজাফ্ফর আহমেদ ভাট সহ চার জঙ্গি নিহত হয়। ওই জঙ্গিরা ছিল লস্কর ও হিজবুলের সদস্য। গত ২৫ জানুয়ারি পুলওয়ামার ত্রাল এলাকায় জইশের স্বঘোষিত কাশ্মীর প্রধান কারি ইয়াসির সহ তিন জঙ্গি মারা যায় এবং জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিয়মে তিন জওয়ান জখম হন।
গত ২৩ জানুয়ারি, পুলওয়ামারই খ্রিউ এলাকায় প্রথমসারির জঙ্গি কম্যান্ডার ইয়াসিরের ঘনিষ্ঠ আবু সৈফুল্লাহ ওরফে আবু কাসিমের মৃত্যু হয়।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৯ এপ্রিল উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার সোপোরে জইশের অন্যতম পাণ্ডা সাজাদ নবাব দার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যায়। গত ১৫ জানুয়ারি ডোডার গুনদানা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হিজবুল কম্যান্ডার হারুন ওয়ানি মারা যায়।
গত ১৪ মার্চ থেকে চলতি লকডাউন পর্বে এখনও পর্যন্ত ১৮ জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
ওই আধিকারিক বলেছেন, চলতি বছর এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ১৭ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান, তিন স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার (এসপিও) ও এক পুলিশ কর্মী।
এর আগে ডিজি দিলবাগ সিংহ জানিয়েছিলেন যে, ২০১৯-এ জম্মু ও কাশ্মীরে ১৬০ জঙ্গি মারা গিয়েছে এবং ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।