মোরেনা: গ্রামের সরপঞ্চ বলে কথা। বয়স ৫১। কিন্তু তা বলে বিয়ের জন্য ধূমধাম করতে অসুবিধা কোথায়! হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যাওয়ার সখ তাঁর। সেজন্য হেলিকপ্টার ভাড়াও হয়ে যায়। প্রশাসনের কাছ থেকে যোগাড় হয় তাঁর গ্রাম বাহরার জাগিরে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির অনুমতিও। শেষপর্যন্ত জানা গেল ৫১ বছরের সরপঞ্চের কনের বয়স মাত্র ১২। এ কথা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই সরপঞ্চের মনোবাসনা ভেস্তে দিল প্রশাসন। তাঁকে তত্ক্ষণাত্ সরিয়ে দেওয়া হয় সরপঞ্চ পদ থেকে।
জানা গেছে জগন্নাথ মাওয়াই নামে ওই সরপঞ্চ ইতিমধ্যেই বিবাহিত। নাবালিকাকে তিনি বিয়ে করতে চলেছেন, এই অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রশাসন গত ১১ ডিসেম্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। খাইরা গ্রামের নাবালিকার সঙ্গে মাওয়াইয়ের বিয়ে আটকায় জেলা প্রশাসন।
জেলার কালেক্টর ভাস্কর লস্কর বলেছেন, অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পর তাঁদের কাছে এক গ্রামবাসী অভিযোগ করেন যে, যে মেয়েটিকে মাওয়াই বিয়ে করতে চলেছেন সে নাবালিকা। জেলা পঞ্চায়েত ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিকরা ওই নাবালিকার স্কুলের নথিপত্র পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে, ওই মেয়েটির বয়স মাত্র ১২। ২০১০-এ সে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল।
জিলা পঞ্চায়েত চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সোনিয়া মীনা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ রাজ আভম গ্রাম স্বরাজ আইন অনুসারে মাওয়াইকে সরপঞ্চ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। আগামী ছয় বছর পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রেও মাওয়াইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মীনা আরও বলেছেন, মাওয়াইয়ের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের ধারায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় মাওয়াইয়ের স্ত্রী বা নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।