তিরুপুর (তামিলনাড়ু): প্রকাশ্যে দিনের আলোয় দলিত যুবকের হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল স্থানীয় আদালত। গত বছরের ১৩ মার্চ ব্যস্ত রাস্তায় হাজারটা লোকের সামনে শঙ্কর নামে ওই দলিত যুবক ও তাঁর স্ত্রী কৌশল্যাকে কোপায় তিনজন। শঙ্কর মারা যান। সেই ছবি টিভি চ্যানেলগুলিতেও দেখানো হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তীব্র আলোড়ন ছড়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনটি লোক শঙ্কর, কৌশল্যাকে বারবার আঘাত করে তাদের ফেলে রেখে টু-হুইলারে উঠে চম্পট দিচ্ছে। আশপাশের লোকজন নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
হামলায় জখম কৌশল্যা জানান, পরিবারের অমতে তিনি বিয়ে করেছেন শঙ্করকে। মেয়ে দলিতকে বিয়ে করায় পরিবারের সম্মান হানি হয়েছে, এ কারণেই সম্ভবত তাঁদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। শঙ্করের বিরুদ্ধে পরিবারের লোকজন ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, এটা কৌশল্যাই তখন জানিয়েছিলেন।
পরিবারের অমতে কৌশল্যা দলিতকে বিয়ে করায় সম্ভবত সম্মান হানির ইস্যুতেই দম্পতিকে টার্গেট করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দোষীদের মধ্যে আছেন কৌশল্যার বাবা। তিরুপুরের মুখ্য জেলা ও দায়রা বিচারক আলামেলু নটরাজন আরেক দোষীকে যাবজ্জীবন, আরেকজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। কৌশল্যার মা সহ তিনজন মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। মহিলা বর্ণহিন্দু। শুনানি পর্বে বাদী পক্ষ ঘটনাটি পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা বলে সওয়াল করে। কৌশল্যার বাবা চিন্নাস্বামী, মা আন্নালক্ষ্মী, মামা পান্ডিদুরাই সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। তাদের গুন্ডা দমন আইনে আটক করা হয়েছিল।