কটক: থেমে গেল লড়াই। ছয় বছরের ছোট্ট মেয়েটি মৃত্যুর সঙ্গে আটদিনের লড়াইয়ে হার মানল। গতকাল রবিবার সন্ধেয় এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণের শিকার ওড়িশার সালেপুরের নাবালিকার মৃত্যু হল। হাসপাতালের সুপার শ্যামা কানুনগো এ কথা জানিয়েছেন। ময়নাতদন্তের পর পুলিশের উপস্থিতিতে মেয়েদের দেহ পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ২১ এপ্রিল সালেপুর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের একটি স্কুল চত্বর থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। তার গলায়,মাথায়, ঘাড় ও গোপনাঙ্গে ছিল গভীর আঘাত।
এই ঘটনায় ২২ এপ্রিল গ্রামেরই ২৫ বছরেরই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের আওতায় ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়। অভিযুক্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। মেয়েটির মৃত্যু হওয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ খুনের অভিযোগ দায়ের হবে বলে জানিয়েছেন সালেপুরের পুলিশ ইন্সপেক্টর।
মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় এসসিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, মেয়েটির চিকিত্সার জন্য ১৩ জন চিকিত্সকের একটি দল গঠন করা হয়েছিল। মেয়েটিকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। ভেন্টিলেটর সহায়তা দেওয়ার পরও মেয়েটির শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। গত বৃহস্পতিবার থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সেজন্য তাকে অন্য কোনও হাসপাতালে স্থানান্তরিতও করা যায়নি।
ঘটনার দিন গ্রামেরই একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল মেয়েটি। কিন্তু অনেকক্ষণ পরও না ফেরায় তার খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন। শেষপর্যন্ত স্কুলচত্বর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। ছোট্ট মেয়েটির শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। মুখ ও মাথা থেকে রক্তপাত হচ্ছিল।
প্রথমে তাকে একটি স্থানীয় নার্সিহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এসসিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।