পূর্ব দিল্লির ডেপুটি কমিশনার ওমবীর সিংহ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ব্যাপারে পুলিশকে জানায় প্রতিবেশীরা। তারপরই পুলিশ মহিলা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে। জেরায় ওই মহিলা পুলিশকে জানায়, মেয়েটি তাকে ও তার প্রেমিককে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে। মেয়েটি তার বাবাকে সব কথা জানিয়ে দেবে বলাতেই তাকে খুনের ছক কষে মা। পূর্ব দিল্লির ডেয়ারি ফার্ম এলাকায় দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকত ওই মহিলা। মহিলার স্বামী গরুর গাড়ি চালায়। খুনে অভিযুক্ত মহিলার প্রেমিক সুধীর দিনমজুরি করে। ওই এলাকারই বাসিন্দা সে।
বেশ কয়েক মাস ধরেই মহিলার সঙ্গে সুধীরের এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। কিন্তু বুধবার রাতে মহিলার বড় মেয়ে তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে। তখন পাশের বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে সুধীর মেয়েটির গলার নলি কেটে দেয়। সেই সময় বাচ্চাটির মা তার হাত দুটো পিছন থেকে চেপে ধরেছিল।বাচ্চাটিকে খুন করতে যে ছুরি ব্যবহার হয়েছিল, সেটাও উদ্ধার হয়েছে, জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের কাছে নিজেদের দোষ কবুলও করেছে দুই অভিযুক্ত। বুধবার সন্ধেবেলা যখন মহিলার স্বামী মদ্যপান করতে বাইরে বেরিয়েছিল, তখন সুধীর বাড়িতে আসে। মহিলার চার বছর ও দুবছরের ছেলে টিভি দেখতে ব্যস্ত ছিল অন্য ঘরে।সেই সময়ই ঘনিষ্ঠ হয় দুজন।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে এই বলে, প্রতিবেশী ও স্বামীর সঙ্গে মেয়ের খোঁজও শুরু করে ওই মহিলা। বুধবার রাতে ফোন পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। প্রথমে শান্তই ছিল ওই মহিলা। তারপর প্রতিবেশীদের থেকে এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে, পুলিশ দুজনকে চেপে ধরতেই, তারা খুনের কথা কবুল করে।