এই ঘৃণ্য কাজটি করার পর, অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির দেহ মাঠের মধ্যে লুকিয়ে রেখে দেয়। কারণ, সে চেষ্টা করেছিল নাতনি নিখোঁজ সেটাই প্রমাণ করতে। এরপর বাচ্চাটির দেহ বাড়ির কাছেই কাদা জলে ছুঁড়ে ফেলে দেয় দাদু। এএনআইকে কোন্ডাগাঁওয়ের এসপি অভিষেক পল্লব জানিয়েছেন, পুলিশি জেরার মুখে ষাট বছর বয়সি ওই ব্যক্তি নিজের দোষ কবুল করেছে। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ জুন। সেদিন মাঠে খেলতে খেলতে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট্ট বাচ্চাটি। তারপরই বাচ্চাটির বাবা পুলিশে অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শিশুটির দেহ উদ্ধার করলেও, কীভাবে তার মৃত্যু হল সে সম্পর্কিত কোনও সূত্রই পাচ্ছিল না। কারণ, ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না, দাবি এসপির। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত শুরু হয়। কুকুরটিই একটি রক্ত মাখা লুঙ্গি উদ্ধার করে। সেখান থেকে কুকুরটি সোজা চলে যায় শিশুটির দাদুর কাছে।তখনই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে দাদুর ওপর। পরে পুলিশি জেরার মুখে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের দোষ স্বীকার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।