এলাহাবাদ: ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাত বছরের এক নাবালিকাকে কুপিয়ে খুন করল ধর্ষকের পরিবার। এলাহাবাদের একটি গ্রামে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। ওই নাবালিকাকে তিন সপ্তাহ আগে গত ৫ জুন প্রতিবেশী এক ১৫ বছরের কিশোর ধর্ষণ করেছিল। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রাতে মৌওয়াইমা থানার সিকারিহা ছাতা গ্রামে নিজেদের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিল ওই নাবালিকা। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাকে অপহরণ করা হয়। ঘুম ভেঙে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে চিত্কার-চেঁচামেচি করতে থাকেন নাবালিকার মা। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। নাবালিকার সন্ধানে শুরু হয় খোঁজ।ঘটনাস্থলে আসে পুলিশও। পরে গ্রামের একটি মাঠে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, নাবালিকাকে ধর্ষণের পর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও সহজে সেই অভিযোগ দায়ের করা যায়নি। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের প্রধানের সঙ্গে অভিযুক্ত কিশোরের বাবার ঘনিষ্ঠতার জন্য পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি।  বহু অনুরোধের পর পুলিশ মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়। পরে তাকে শিশুদের একটি হোমে পাঠানো হয়।
এই ঘটনার তিন সপ্তাহ পরই নির্যাতিতা নাবালিকাকে ওই কিশোরের পরিবার খুন করল বলে অভিযোগ। জানা গেছে, মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে খুন করে মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে রয়েছে কিশোরের বাবাও। পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। অভিযুক্ত কিশোরের এক কাকা গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে নাবালিকার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় তার পরিবারের লোকজন। পরিবারের অভিযোগ, শেষকৃত্যের প্রতিবাদ করায় তাঁদের কয়েকজনকে মারধর করেছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাবালিকার দেহ গ্রামে নিয়ে গেল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা ছিল। গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।