সুভাষনগরের নেলামঙ্গলার বাসিন্দা শিবকুমার, পেশায় ছোট ব্যবসায়ী। তাঁর মেয়েকে শিবকুমার পড়তে পাঠাতেন ওই এলাকারই বাসিন্দা লাথার কাছে। সেখানেই ভাবনাকে বেধড়ক মারেন ওই শিক্ষিকা। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪ ও ৫০৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নেলামঙ্গলা এলাকায় সমস্ত বিষয়ের জন্যে প্রাইভেট টিউশন দিতেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। গত পনেরো বছর ধরে প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি, এবং এলাকায় তাঁর পড়ানোর খ্যাতিও রয়েছে যথেষ্ট।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা ভাবনাও গিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষিকার বাড়িতে পড়তে। সেখানে ভাবনা যখন জানায়, সে হোমওয়ার্ক করতে ভুলে গেছে, তখন তাকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে বেধড়ক মারে ওই শিক্ষিকা। বাড়ি ফিরে এসে বাবা-মাকে একথা জানালে, তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রের খবর, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই শিক্ষিকার নামে ছাত্র-ছাত্রী যারা পড়াশোনায় দুর্বল তাদের মারার অভিযোগ রয়েছে। এরআগেও তিনি একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে এভাবে মেরেছেন। কিন্তু সবসময়ই পড়ুয়াদের বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের দোষ ভেবেই ঘটনার কোনও প্রতিবাদ করেননি। অনেক অভিভাবকই আঘাতের চিহ্ন দেখে অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কেউ সরাসরি পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি, জানানো হয়েছে পুলিশরে তরফে।