নয়াদিল্লি: লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোরক্ষপুরে শিশু মৃত্যুর জন্য শোকপ্রকাশ করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন।


তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বিহার, বাংলা, অসম। এই তিন রাজ্যকে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চলছে চলবে মানসিকতার দিন গিয়েছে। ২০২২-এর মধ্যে নতুন ভারত তৈরির জন্য দেশবাসীকে সংকল্প করতে হবে।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত একা নয়। গোটা বিশ্ব এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের পাশে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে প্রমাণিত হয়েছে ভারত কতটা শক্তিশালী।

কাশ্মীর পরিস্থিতির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী উপত্যকায় সঙ্কটের কারণ। রাজ্যের উন্নয়ন, রাজ্যবাসীর স্বপ্ন পূরণে দেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গালি বা গুলি নয়, বুকে টেনে নিয়েই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব।

তাঁর কথায়, এখন সততার উৎসব চলছে, মুখ লুকোচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্তরা। নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন দেশবাসী। ৮০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সরকার যা বলে, তা করে দেখাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতার পর থেকে অন্ধকারে থাকা ১৪.০০০ গ্রামে বিদ্যুৎ আনা হয়েছে।

আজ আমাদের ৭১তম স্বাধীনতা দিবস। সকালে রাজঘাটে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর তিনি লালকেল্লায় যান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে। সেখানে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেয় সেনা।



পরে লাহোরি গেট দিয়ে এসে পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। লালকেল্লার অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি সহ মন্ত্রী সভার সদস্যরা। রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গাঁধী প্রমুখ।