নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের অধিকাংশই ক্রোড়পতি। শতকরা হিসেবে ৮৭ শতাংশ প্রার্থীই কোটিপতি। সবচেয়ে ধনী জেডি (ইউ)-র মহেন্দ্র প্রসাদ। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৪,০৭৮ কোটি টাকা। তাঁর পরেই যাঁদের সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বলিউড অভিনেত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী জয়া বচ্চন (১,০০১ কোটি টাকা), জেডি (এস) প্রার্থী বি এম ফারুক (৭৬৬ কোটি টাকা), অভিষেক মনি সিংভি (৬৪৯ কোটি টাকা), টিডিপি-র সিএম রমেশ (২৫৮ কোটি টাকা)।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণকারী বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) এই তথ্য জানিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভা আসনে প্রার্থী জয়া বচ্চন তাঁর ১০৫.৬৪ কোটি টাকা ঋণের ঘোষণা করেছেন। সিংভি ৯৮ কোটি, ফারুক ৯৭ কোটি এবং রমেশ ৩৯ কোটি টাকার ঋণ ঘোষণা করেছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভা আসনে প্রার্থী ভেমিরেড্ডি প্রভাকর রেড্ডির সম্পদের পরিমাণ ২৩০ কোটি টাকা এবং ঋণ ৯৬ কোটি টাকার।
এডিআর ৬৪ জনের মধ্যে ৬৩ প্রার্থীর স্বঘোষিত হলফনামা খতিয়ে দেখেছে। আগামী ২৩ মার্চ ১৬ টি রাজ্যের ৫৮ টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনে এই ৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
যে ৬৩ প্রার্থীর তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে, তাঁদের গড় সম্পদের পরিমাণ ১২২.১৩ কোটি টাকা। এডিআরের তথ্য অনুযায়ী, প্রার্থীদের ৫৫ জন অর্থাত্ ৮৭ শতাংশই কোটিপতি।
দলগতভাবে বিজেপির ২৯ প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন, কংগ্রেসের ১১ জনের মধ্যে ১০ জন, তৃণমূল কংগ্রেসের ৪ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন, টিআরএসের ৩ জন, জেডি -ইউ-র দুই জন এবং সপা-র এক প্রার্থী-র ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি।
১৬ জন প্রার্থী বা ২৫ শতাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা। তাঁদের মধ্যে আট জনের বিরুদ্ধে রয়েছে অপহরণ, খুনের চেষ্টা ও ডাকাতির মতো গুরুতর মামলা।
৬৪ প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পদ বিজেডি-র অচ্যুতানন্দ সামানানতা। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪.৯৬ লক্ষ টাকা।
১৩ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছেন যে, তাঁদের বার্ষিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি।
সাত প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। ৫৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর।