নয়াদিল্লি: যাঁরা সরকারি ভর্তুকি, নানা পরিষেবা ও সুযোগসুবিধের প্রকৃত উপভোক্তা আধারের মাধ্যমে তাঁদের চিহ্নিত করা যাবে। জাল প্যান কার্ডের সমস্যা ধরা যাবে, বোজানো সম্ভব গণবণ্টন ব্যবস্থার ছিদ্র। আধারের সমর্থনে সুপ্রিম কোর্টে আজ কেন্দ্র দাবি করেছে এ কথা।

কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে তিনি বলেন, আধার শুধু যে সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তাদের চিহ্নিত করবে তাই নয়, গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এনে দুর্নীতি দূরীকরণের মাধ্যমে প্রকল্পের সুবিধেগুলি মানুষের ঘরে আরও দ্রুত পৌঁছে যাওয়ায় সাহায্য করবে।

দুর্নীতির কারণে এইসব সুযোগ সুবিধে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে এতদিন পৌঁছনো কঠিন ছিল বলে মন্তব্য করে সরকার। তাই উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার কাজ আরও সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে আধারের জন্ম।

কেন্দ্র আরও বলেছে, আগের সব সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ভর্তুকি, বৃত্তি, পেনশন, শিক্ষা সহ নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বরাদ্দর প্রায় অর্ধেক টাকা গলে গিয়েছে অন্যত্র, দরিদ্রের কাছে পৌঁছয়নি। একই ব্যাপার ঘটেছে খাদ্য শস্য বণ্টনের ক্ষেত্রেও। তাই প্রকৃত উপভোক্তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করে শুধু তাঁদের হাতেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আধার তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।