বেঙ্গালুরু ও মুম্বই:  বর্ষবরণের রাতে বেঙ্গালুরুর অভিজাত এলাকা ব্যস্ত এমজি রোড ও ব্রিগেড রোডের সংযোগস্থলে প্রায় হাজার খানেক পুলিশের সামনে শ্লীলতাহানি করা হয় একাধিক মহিলার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার জন্যে মহিলাদের দায়ি করায় কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর এবং সপা নেতা আবু আজমিকে। তবে এই ঘটনাকে নিন্দাজনক বলে মন্তব্য করে বলিউড অভিনেতা আমির খান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি করেছেন।





আমির মনে করেন, এই ঘটনায় কড়া শাস্তি দিলে, তবে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে ভয় পাবে সভ্য সমাজের মানুষরা। এধরনে অশালীন কাজ করার জন্যে অভিযুক্তদের হাজতবাস হওয়া উচিত্ মন্তব্য আমিরের।

বলিউডের আর এক অভিনেতা সলমন খানের বাবা এবং চিত্রনাট্যকার সেলিম খান এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

 




 


এদিকে এই ঘটনার তিন দিন বাদে অবশেষে এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার প্রবীণ সুদ জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দা এগিয়ে এসে এবিষয়ে বেশ কিছু প্রমাণ জমা দিয়েছে পুলিশের কাছে। তার ভিত্তিতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেদিন রাতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সেখানে জমায়েত করে ছিলেন। বহু মানুষ এসেছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। তারাই বহু মহিলাকে জড়িয়ে ধরে, তাদের বেআব্রু করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল। পুলিশ থাকলেও, ওই উন্মত্ত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করায় জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সপা নেতা আবু আজমির থেকে জবাব তলব করা হয়েছে।