নয়াদিল্লি: আমআদমি পার্টি (আপ)-তে অশান্তি চরমে। মিডিয়ার কাছে মুখ না খোলার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ সত্ত্বেও আজ আপের প্রথম সারির নেতা কুমার বিশ্বাস জানিয়ে দেন, তিনি পার্টির ভুলভ্রান্তি হলে সেগুলি তুলে ধরবেন, দেশের স্বার্থে যা ঠিক, সেটাই বলবেন।

প্রসঙ্গত, ইভিএম ইস্যুতে প্রকাশ্যে অরবিন্দ কেজরীবালের উল্টো কথা বলেছেন কুমার। কেজরীবাল দাবি করলেও কুমার মানতে চাননি যে, ইভিএমে কারচুপি করে সাম্প্রতিক নির্বাচনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে আপ-কে।

গত কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছে যে, কুমার দলের নেতৃত্ব চাইছেন। আপের ভিতরের খবর, পঞ্জাবে বিধানসভা ভোট, দিল্লি পুরসভার ভোটে দলের শোচনীয় পারফরম্যান্সের পর দলের বিধায়কদেরও অনেকেই চাইছেন, আরও বেশি, বড় ভূমিকা পালন করতে বলা হোক কুমারকে।

অবশ্য তার মধ্যেই আজ তিনি নিজের গাজিয়াবাদের বাসভবনের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি অরবিন্দ কেজরীবাল, মণীস শিসোদিয়াকে জানিয়েছি, নিজেও আবার বলছি যে, মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী বা দলের জাতীয় আহ্বায়ক, কিছুই হতে চাইছি না। আমি কোনও দলে বা স্বরাজ ইন্ডিয়াতেও (বহিষ্কৃত আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণের দল) যোগ দিতে চাই না। তোমরা কী করতে চাও, জানি না, কিন্তু আমি এটা করতে চাই না। এদিন কথা বলতে বলতে আবেগপ্রবণ হয়ে প্রায় কেঁদে ফেলেন তিনি।

কুমার বিশেষ করে ক্ষুব্ধ ওখলার আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাহ খানের কথায় গত রবিবার খান প্রকাশ্যে বলেন, কেজরীবালের বিরুদ্ধে ছক কষছেন কুমার। তাঁকে বিজেপি-আরএসএস এজেন্টও আখ্যা দেন খান। পাল্টা কুমার বলেন, খান মুখোশ পরে আছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের পিছনে লুকোচ্ছেন। কুমার এও বলেন, কেজরীবাল, শিসোদিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা বললে দশ মিনিটের মধ্যে খানকে দল থেকে বের করে দেওয়া হত।

এদিকে কুমারের মন্তব্যে দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন শিসোদিয়া।