নয়াদিল্লি: এক্ষুনি ফিরে আসুন ফিনল্যান্ড থেকে। দিল্লিতে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গির ‘মহামারী’ নিয়ে এই মর্মেই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়াকে ফ্যাক্স করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জঙ্গ। ফিনল্যান্ড সফররত শিশোদিয়াকে করা ফ্যাক্সে এলজি-র বক্তব্য ছিল, আচমকা ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গি আর চিকুনগুনিয়ায় দিল্লিবাসীর অবস্থা শোচনীয়। প্রতিদিন হাসপাতালগুলিতে জ্বর নিয়ে আসছেন শয়ে শয়ে মানুষ। এই অবস্থায় তাঁর দিল্লিতে থাকা বেশি প্রয়োজন।


কিন্তু শিশোদিয়ার দল ও দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি এই ফ্যাক্স ভাল চোখে দেখেনি। ২ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও কপিল মিশ্র শনিবার এ ব্যাপারে এলজি-র সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু নাজিব জঙ্গ অফিসে না থাকায় সাক্ষাৎ হয়নি। ফলে সমস্যা বেড়েছে আরও।

কপিল মিশ্র পরে এলজি-কে বিদ্রূপ করে বলেন, এদিন হয়তো উনি ঠিক কাজ করার ‘মুডে’ ছিলেন না। কিন্তু এলজি অফিস এই বিদ্রূপ মুখ বুজে সহ্য করেনি। তারা জানিয়ে দেয়, অফিস ৭দিনই খোলা থাকে কিন্তু মন্ত্রীরা আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে না যাওয়ায় এলজি বেরিয়ে যান। তারা পাল্টা অভিযোগ করে, শহর যখন এমন স্বাস্থ্য সংকটে ভুগছে, তখন সেদিকে নজর না দিয়ে খামোখা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে আপ সরকার।

মন্ত্রীদের অবশ্য দাবি, জঙ্গ যেভাবে ফিনল্যান্ডে শিক্ষামূলক সফরে ব্যস্ত থাকা উপ মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জরুরি’ ফ্যাক্স করেছেন, তাতে তাঁদের ‘ধারণা’ হয়েছিল, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া  সামাল দিতে তাঁর দারুণ কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটাই শিশোদিয়াকে বলতে চান। তাই তাঁর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না করেই দেখা করতে আসেন তাঁরা। বাড়িতেও ফোন করে তাঁকে পাওয়া যায়নি বলে তাঁরা দাবি করেছেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এখন বেঙ্গালুরুতে, চিকিৎসাধীন। উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া ফিনল্যান্ডে, সফররত। অন্যান্য প্রথম সারির নেতানেত্রীরা পঞ্জাব ও গোয়ায় ব্যস্ত, ভোটের কাজে। চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার পর গোয়া থেকে তড়িঘড়ি দিল্লি এসে পৌঁছেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। দিল্লির এই অবস্থায় উপ মুখ্যমন্ত্রীর

ফিনল্যান্ডে ‘ছুটি কাটানো’ নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। শিশোদিয়া অবশ্য তাঁদের অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করে তুলতে ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে তাঁর এই সফর। এটা কোনও অপরাধ নয়।