ইলাহাবাদ: আরুষি তলোয়ার হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় নিম্ন আদালতের বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি বি কে নারায়ণ ও এ কে মিশ্র বলেছেন, গাজিয়াবাদের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শ্যাম লাল ‘চলচ্চিত্র পরিচালকের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ঘটনাকে একসঙ্গে জোড়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি নিজের মতো করে একটি ঘটনা সাজিয়েছেন। ত্রুটিপূর্ণ সাদৃশ্যের মাধ্যমে আলাদা একটি ঘটনার কথা বলেছেন বিচারক। কিন্তু আসলে কী ঘটেছিল, সেটা বলতে পারেননি তিনি। নিম্ন আদালতের বিচারপতির নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে বিচার করা উচিত ছিল। কল্পনাশক্তিকে ব্যবহারের মাধ্যমে আইনকে ব্যঙ্গ করা উচিত নয়।’


আরুষি ও তাঁদের বাড়ির পরিচারক হেমরাজের হত্যার ঘটনায় আরুষির বাবা-মা রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন নিম্ন আদালতের বিচারপতি শ্যাম লাল। সেই রায় খারিজ করে আরুষির বাবা-মাকে বেকসুর খালাস করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতিরা বলেছেন, তলোয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তাই তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। নিম্ন আদালত অবস্থাগত প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁদের সাজা দিয়েছিল। অঙ্কের শিক্ষকের মতো কিছু সংখ্যা ধরে নিয়ে রায় দিয়েছেন নিম্ন আদালতের বিচারপতি। গোটা ঘটনাটাই আন্দাজ করে নেওয়া হয়েছিল। যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই রায় দেওয়া হয়েছিল।