কবিতার শিরোনাম ‘অভি তো সুরজ উগা হ্যায়’। বাংলায় তর্জমা করলে হবে, ‘এখন তো সূর্য উঠেছে’।
মাইগভইন্ডিয়া ওই কবিতার ভিডিও শেয়ার করে লিখেছে, ‘বছরের প্রথম দিনটি শুরু করা যাক আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেখা একটি মনোমুগ্ধকর ও অনুপ্রেরণাদায়ক কবিতা ‘অভি তো সুরজ উগা হ্যায়’-এর মাধ্যমে’।
কবিতাটি ভিডিও ফরম্যাটে শেয়ার করা হয়েছে।চিকিৎসক, সেনা ও পুলিশের মতো করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারির যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ হিসেবেই এই ভিডিও। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কৃষকদেরও।
প্রধানমন্ত্রী মোদির কবিতায় করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় মানুষের দুঃখদুর্দশার ছবি ফুটে উঠেছে।
ওই কবিতা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারের মাধ্যমেও নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। নতুন বছর সকলের জন্য আনন্দ, সুস্বাস্থ্য ও সম্বৃদ্ধির কামনা করেছেন এবং সেইসঙ্গে মঙ্গল কামনাও করেছেন তিনি।
সম্প্রতি গুজরাতের রাজকোটে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন, সেই যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই রোগকে হারাতে ও করোনাভাইরাসের শৃঙ্খল ছিন্ন করতে যাঁরা অক্লান্ত কাজ করছেন, তাঁদের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।
তাঁর বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০২১-এর মন্ত্র হবে, ওষুধও থাকবে, কড়াকড়িও থাকবে।টিকাকরণের পরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কঠোরভাবে মেনে চলতে সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন।
করোনা ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র মেলার পর বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযানের সূচনাও প্রধানমন্ত্রী করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত বছর করোনাভাইরাস অতিমারির প্রভাবে অনেকটা সময়ই মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে হয়েছিল। করোনার প্রাদুর্ভাব আটকাতে দেশজুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন। বেশ কয়েকমাস সেই লকডাউন চলে। করোনার প্রকোপ দেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানে। আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খায়। মানুষের রুটি-রুজির ওপরও এর প্রভাব পড়ে।