মু্ম্বই:  ২০০৬ সালের ঔরাঙ্গাবাদ অস্ত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সঈদ জাবিউদ্দীন আনসারি বা আবু জুন্দাল সহ ১২জন। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গ্যানাইজড ক্রাইম অ্যাক্ট বা মকোকা আইনের আওতায় এই রায় দিয়েছে আদালত।

১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই ঘটনার নেপথ্যে বড়সড় চক্রান্ত ছিল। মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করা ছাড়াও, গুজরাতের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার ওপর আক্রমণ চালানোরও ছক ছিল দোষী সাব্যস্তদের। প্রসঙ্গত গোধরা হামলার বদলা নিতেই এই হামলার ছক কষা হয়েছিল বলে রায়ে দাবি করা হয়েছে। এই মামলায় ২২ জন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চলেছে। ১২ জন দোষী সাব্যস্ত, ৮ জন অভিযুক্ত, একজন পলাতক এবং একজন সাক্ষী হয়ে গিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৬ সালের ৮ মে। মহারাষ্ট্র এটিএস একটি গাড়ি পাকড়াও করে। গাড়িতে সেসময় তিনজন সন্দেহভাজন জঙ্গি ছিল। ঔরাঙ্গাবাদে চাঁদওয়াদ-মানমাদ জাতীয় সড়কের কাছে গাড়িটি আটক করে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এটিএস।

সেদিন গাড়ি থেকে ৩০ কেজির আরডিএক্স, ১০ একে ৪৭ রাইফেল, প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র, এবং নাশকতা চালানোর জিনিষ উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, দেশে বড়সড় হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। সেদিন আর একটা গাড়ি এটিএস-এর নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। সম্ভবত সেই গাড়িতেই আবু জুন্দাল ছিল, পরে সে পাকিস্তান পালিয়ে যায়।
২০১২ সালে অবশেষে জুন্দালকে আটক করলে, পুলিশকে ওই অভিযুক্ত জঙ্গি তাদের আরও এক ডেরার সন্ধান দেয়। সেখান থেকে আরও ১৩ কেজির আরডিএক্স, ১২০০ কার্তুজ, ৫০টি হাত গ্রেনেড এবং ২২টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়। ২০১৩ সালে এই মামলার বিচার শুরু হয়। এই বছর মার্চে বিচার শেষে, অবশেষে আজ রায় দিল আদালত।