নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মমভাবে ট্রোলড হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তনভি শাহ নামে এক মহিলাকে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা নিয়ে বিদেশমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তার জবাবে এবার সুষমা টুইটারে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করলেন।

সুষমা লেখেন, বন্ধুরা, আমি কিছু টুইটে লাইক দিয়েছি। শেষ কদিন ধরে এমনটা ঘটছে। আপনারা কি এ ধরনের টুইট সমর্থন করেন? দয়া করে রিটুইট করুন। ভোটে হ্যাঁ ও না-এর মধ্যে বেছে নিতে হবে। শেষ ১৫ ঘণ্টায় ৫০,০০০-এর বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন। ৫৮ শতাংশ না বলেছেন, ৪২ শতাংশ হ্যাঁ।

[embed]https://twitter.com/SushmaSwaraj/status/1013109743672385536?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1013109743672385536&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.ndtv.com%2Findia-news%2Fabused-on-social-media-sushma-swaraj-responds-with-a-twitter-poll-1875947[/embed]

ঘটনার সূত্রপাত লখনউয়ে। পাসপোর্ট করাতে আসা তনভি শেঠ নামের এক মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে জনৈক পাসপোর্ট আধিকারিক দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। তনভির স্বামী মুসলিম হওয়ায় তিনি তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন বিয়ের পরেও হিন্দু নাম ব্যবহার করছেন তিনি, স্বামীই বা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেননি কেন। এ নিয়ে টুইটারে সুষমার কাছে অভিযোগ করেন তনভি। এরপরেই ওই আধিকারিককে বদলি করে দেওয়া হয়, সঙ্গে সঙ্গে পাসপোর্ট পেয়ে যান তনভি ও তাঁর স্বামী।

কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া অভিযোগ করে, তনভি ও তাঁর স্বামীর আবেদনে গন্ডগোল ছিল, সে কারণেই ওই আধিকারিক তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। প্রশ্ন ওঠে, স্বাভাবিক নিয়ম না মেনে দ্রুত তাঁদের জন্য পাসপোর্ট ইস্যু করার কারণ কী। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে উত্তর প্রদেশ সরকার। তদন্তে জানা যায়, পাসপোর্টের আবেদন করার সময় তনভি বেশ কিছু তথ্য ভুল দিয়েছেন, তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যেতে পারে।

এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নজিরবিহীন ট্রোলিংয়ের মুখোমুখি হন বিদেশমন্ত্রী। এমনকী প্রার্থনা করা হয়, যেন কিডনি ফেল করে তাঁর। অনেকে বলেন, কিডনির কারণে চিকিৎসাধীন সুষমা ইসলামীয় কিডনি গ্রহণ করেছেন। তার ফলেই এমন কাণ্ড।

ট্রোলদের শিক্ষা দিতে আপত্তিকর টুইটগুলি লাইক ও রিটুইট করেন সুষমা। কংগ্রেস বলেছে, বিজেপির ট্রোল সেনারাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সুষমা তো বটেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাদের বেশ কয়েকজনকে টুইটারে ফলো করেন।