নয়াদিল্লি: ১১ নভেম্বর 'চলো কেরল' কর্মসূচিতে নামছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। দলীয় সভাপতি অমিত শাহের বামশাসিত কেরলে পদযাত্রা কর্মসূচির পর দলীয় ছাত্র শাখাকে নামাচ্ছে বিজেপি।

কেরলে শাসক সিপিএমের বিজেপি-আরএসএস ক্যাডারদের ওপর 'হামলা'র ব্যাপারে দেশবাসীকে অবহিত করতেই এবিভিপি-র এই কর্মসূচি। দেশের নানা জায়গা থেকে প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে সামিল করা হবে এতে।

এবিভিপি-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনয় বিদরের দাবি, বহু বছর ধরেই কমিউনিস্ট পার্টি কেরলে রাজনৈতিক বিরোধীদের খতম করছে। এমনকী সাধারণ মানুষও সিপিএম ক্যাডারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই পদযাত্রায় হয়ত এর অবসান হবে না, কিন্তু সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়ার মঞ্চ হিসাবে কাজে লাগানো যাবে একে।

কেরলে নিয়মিত রাজনৈতিক হিংসার শিকার হচ্ছেন সিপিএম, বিজেপি- দুদলের কর্মীরাই। তাদের প্রায় ১২০ জন কর্মী রাজ্যে খুন হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

৩ অক্টোবর কেরলে রাজনৈতিক হিংসার প্রতিবাদে জনরক্ষা যাত্রার সূচনা করেন অমিত শাহ।

সিপিএম কর্মীদেরও হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিদারের মন্তব্য, ওদের কর্মীদের ওপর সত্যিই আক্রমণ হলে তো ওরা বিক্ষোভ সভা-সমাবেশ করত। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ দেখছি না, তার অর্থ আসলে কেউই আক্রান্ত নয় ওদের।

এবিভিপি-র জাতীয় মিডিয়া কনভেনর সাকেত বহুগুণা সঙ্ঘ-বিজেপি কর্মীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগে বামেদের দুষে বলেন, অন্যত্র কমিউনিস্টরা মতপ্রকাশের অধিকারের দাবিতে সরব, কিন্তু কেরলে রাজনৈতিক বিরোধীদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ওরা।