গত ২০ জুলাই স্কুলে পরীক্ষায় বসেছিল ছাত্রীটি। সেই সময় পেটে ব্যথার জন্য ক্লাসরুম থেকে বেরোয় সে। শৌচাগারে গিয়ে সন্তান প্রসব করে ছাত্রীটি। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রী ও তার সদ্যোজাত সন্তানকে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয় যে, কিশোরী একটি প্রিম্যাচিওর শিশুর জন্ম দিয়েছে।
জ্ঞান ফেরার পর কিশোরী পুলিশকে সব ঘটনা জানায়। সে বলে, গত মাস ধরে তাকে নানা অছিলায় বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করত তার প্রৌঢ় প্রতিবেশী।
এরইমধ্যে ওই প্রৌঢ় তার ভাড়া বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রযুক্তিগত নজরদারি চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্তের হদিশ করতে সক্ষম হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে। দিল্লির ডিসিপি (উত্তর-পশ্চিম) মিলিন্দ মহাদেও দুমরে এ কথা জানিয়েছেন।
নির্যাতিতা ও তার সন্তান সুস্থ রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
কিশোরীর বয়ানের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জেরায় ওই প্রৌঢ় পুলিশকে জানিয়েছে যে, কিশোরী পেটে ব্যথার কথা বলায় গর্ভপাতের ওষুধ সে দিয়েছিল। সম্ভবত এই ওষুধের কারণেই কোনও সমস্যা হয় এবং মাত্র ২৬ সপ্তাহেই মেয়েটি সন্তান প্রসব করে।
অভিযুক্ত আব্দুল গফর বিহারের বাসিন্দা। দিল্লিতে সে অটো রিক্সা চালাত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে মুখার্জীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতীতেও অভিযুক্ত একই ধরনের অপরাধ করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।