নয়াদিল্লি: বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ে টুজি স্পেকট্রাম দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেয়েই প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার দাবি, আজ প্রমাণ হয়ে গেল, টুজি স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে গল্প ফাঁদা হয়েছিল। আসলে কোনও দুর্নীতি হয়নি।


২০০৮ সালে আটটি সংস্থাকে আগে এলে আগে পাবে ভিত্তিতে ১২২টি টেলিকম স্পেকট্রাম লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, স্পেকট্রামের নিলাম না করার ফলে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু আজ আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতির কোনও প্রমাণই পাওয়া যায়নি।

এই রায়ের পর রাজা বলেছেন, ‘নিজের কাজ এবং দেশের বিচারব্যবস্থার উপর বিশ্বাস ছিল। সেটা আজ ঠিক বলে প্রমাণিত হল। জাতীয় টেলিকম নীতি অনুসারেই আমি স্পেকট্রাম বণ্টন করেছিলাম। এর ফলে টেলিকম ক্ষেত্রে বিপ্লব এসেছে। প্রতিযোগিতা বাড়ার ফলে মোবাইলের কল চার্জ কমে গিয়েছে। দেশের মানুষ আমার কাজের সুফল ভোগ করছেন। কিন্তু বিচারের আগেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।’

নিজের স্বপক্ষে রাজা আরও বলেছেন, ‘আমি টেলিকম ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিলাম। ইতিহাসে এটা অজানা নয়, যে ব্যক্তি বিপ্লব এনেছেন, তাঁকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। কায়েমি স্বার্থে সংবাদমাধ্যমে তথ্য বিকৃত করে জনমত গঠন করা হয়েছিল। আমার আদালতে সিবিআই-এর জেরার মুখোমুখি হওয়ার সাহস ছিল। ভারতে অপরাধের বিচারে এটা সাধারণত দেখা যায় না।’ জেলে থাকাকালীন ও বিচার চলাকালীন পাশে থাকার জন্য ডিএমকে নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজা।

টুজি মামলায় অপর এক অভিযুক্ত ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিও আজ রেহাই পেয়ে বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির কোনও প্রমাণ ছিল না। এতদিনে ন্যায়বিচার পেলাম। গত ৬ বছর চরম যন্ত্রণার ছিল। পাশে থাকার জন্য পরিবার ও দলীয় কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এবার টুজি-পর্ব পিছনে ফেলে দলকে শক্তিশালী করা এবং তামিলনাড়ুর মানুষের জন্য কাজ করব।’