নয়াদিল্লি: সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়েছেন ২৪ ঘণ্টাও হয়নি, এরই মধ্যে সানি দেওলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হল। পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নির্বচনী বিধির লঙ্ঘন করেছেন এই অভিনেতা সাংসদ। পঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হয়েছেন সানি। অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া ৭০ লাখ টাকা খরচের সীমা ছাড়িয়ে ভোটে আনুমানিক ৮৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন এই বলি অভিনেতা। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ইস্যুতে অভিযোগ জমা হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে তারা।



প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ক্ষমতা রয়েছে, যদি অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে পরাজিত প্রার্থীকে সাংসদ পদ দিতে পারবে তারা। সানি দেওলের ক্ষেত্রে আনা  অভিযোগ সত্য হলে এমনই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের একেবারে শেষ মুহূর্তে গুরুদাসপুর কেন্দ্র থেকে সানি দেওলকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। অতীতে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা সাংসদ বিনোদ খান্না। এবার এই কেন্দ্রে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন সানি। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ে ৮০ হাজার ভোটে হেরেছেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান সুনীল জাখর।


সূত্রের খবর, সানির নির্বাচনী খরচ নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গুরুদাসপুরের জেলা নির্বাচনী আধিকার তথা ডেপুটি কমিশনার বিপুল উজ্জ্বল সানি দেওলকে নোটিশ ও পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা করেছে পঞ্জাব কংগ্রেসই।