নয়াদিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরির বক্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত লোকসভা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে মন্তব্য করেন অধীর। কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্য নিয়েই সরব হন বিজেপি সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এমন ‘অপমান’-এর জন্য অধীরকে ক্ষমা চাইতে বলেন শাসক দলের সাংসদরা। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী আবার পাল্টা সনিয়া গাঁধীকে টেনে এনে আক্রমণ শানান। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসের নেতারাই ‘অনুপ্রবেশকারী’।
এদিন সংসদে কর্পোরেট করের ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাফাই দেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা সীতারমন বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাই চিন ছাড়তে চাইছে। আমাদের মনে হয়েছে এই সময়ে কর্পোরট করে ছাড় দেওয়া প্রয়োজনীয়।” অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়েই আরও এক বিতর্কের জন্ম দেন অধীর চৌধুরি। সংসদে দাঁড়িয়েই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “আমি আপনাকে সম্মান করি। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও সরকারের নীতির ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। তাই আপনাকে নির্মলার পরিবর্তে নির্বলা বলা উচিত।” অধীরের এই বক্তব্য নিয়েও তাঁকে নিশানা করে বিজেপি।
কর্পোরেট কর ছাড় নিয়ে এদিন কংগ্রেসের সুরেই বিজেপি-কে নিশানা করে তৃণমূল। নবাগত সাংসদ মহুয়া মৈত্র লোকসভায় নির্মলা সীতারমনের কর্পোরেট কর ছাড়ের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, কর্পোরেট কর ছাড়ের কারণেই ধনী আরও ধনী হচ্ছে। তবে এতে ভারতীয় অর্থনৈতিক অবস্থার কোনও উন্নতি হচ্ছে না।