নয়াদিল্লি: কাসগঞ্জের গোষ্ঠীসংঘর্ষের ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে সামগ্রিক রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র। রাজ্যকে পাঠানো বার্তায় গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে কাসগঞ্জ ও তার আশপাশে শান্তি ফেরাতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। হিংসায় জড়িত লোকজনের শাস্তির ব্যাপারে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে রিপোর্টে। কাসগঞ্জে প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা নিয়ে বাইক মিছিলে পাথর ছোঁড়ার জেরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়, জখম হয় কয়েকজন। অন্তত তিনটি দোকান, দুটি বাস ও একটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। হিংসায় ইন্ধন দেওয়া, জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। এর মধ্যেই চারদিন বাদে মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ঘোষণা, হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। আমাদের সরকার প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে দায়বদ্ধ। রাজ্যে বিশৃঙ্খলার কোনও স্থান নেই।
গতকালই উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক কাসগঞ্জের ঘটনাবলীকে রাজ্যের কলঙ্ক বলে উল্লেখ করে আদিত্যনাথ সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। বিরোধী দলগুলিও নিশানা করেছে সরকারকে।


তবে এর মধ্যেই বিক্ষিপ্ত, ছুটকো ছাটকা হিংসার খবর আসছে নানা জায়গা থেকে। পিএসি, RAF বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে গুজব ছড়িয়ে পড়া রুখতে। তবে তার মধ্যেই গতকাল রাতে এক দোকানির গুদাম পুড়ে ছাই হয়েছে।

এর মধ্যেই রাহুল উপাধ্যায় নামে যে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ায় কাসগঞ্জের পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠেছিল, তিনি নিজেই আজ প্রকাশ্যে এসে জানান, তিনি ভাল, সুস্থ আছেন। তাঁর কিছুই হয়নি। তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়ানোয় অশান্তি বাড়তে থাকায় তিনি নিজে থেকেই আজ মিডিয়াকে বলেন, আমার এক বন্ধু কাসগঞ্জের হিংসায় আমার মারা যাওয়ার গুজব সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার কথা জানায়। কিন্তু অশান্তি, হিংসার সময় কাসগঞ্জে ছিলামই না আমি। গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। এখন আমি দারুণ আছি। তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।