গোরক্ষপুর: আমজনতার সেন্টিমেন্ট নিয়ে ছেলেখেলা করাটা অভ্যাস করে ফেলেছেন সঞ্জয় লীলা বনশালী। পদ্মাবতীর কলাকুশলীদের যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের চেয়ে কম অপরাধী নন উনি! 'পদ্মাবতী' নিয়ে বিতর্ক, শোরগোলের মধ্যেই বনশালীকে এভাবে আক্রমণ করলেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই 'বিতর্কিত অংশগুলি' বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ছবিটি ওই রাজ্যে মুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সঞ্জয় লীলা বনশালী বা অন্য যে কেউ, আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। আমার মনে হয়, ছবির কলাকুশলীদের হুমকি দেওয়া লোকজনকে অপরাধী বললে বনশালীও কম অপরাধ করেননি।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হলে দুপক্ষের বিরুদ্ধেই নিতে হবে। তারকা, কলাকুশলীদের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি, ভীতি প্রদর্শন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আদিত্যনাথ বলেন, সকলেরই পরস্পরের অনুভূতিকে সম্মান করা উচিত। আমি মনে করি, সকলের শুভ উদ্দেশ্য, ভাবনা থাকলে সমাজে শান্তি, সৌহার্দ্য থাকবে।
রাজপুত রানি পদ্মিনীর জীবনকে নিয়ে তৈরি ছবিটি ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছে। ছবিতে পদ্মাবতী ও আলাউদ্দিন খিলজির মধ্যে রোমান্টিক দৃশ্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তার মুক্তি পাওয়া চলবে না বলে ঘোষণা করেছে কার্নি সেনা ও রাজপুত সংগঠনগুলি। ছবিটি রাজপুত সম্প্রদায়ের ইতিহাস বিকৃত করেছে, আবেগকে আঘাত করেছে বলে দাবি সংগঠনগুলির। যদিও আদৌ বাস্তবে রানি পদ্মিনী বলে কেউ ছিলেন কিনা, নাকি তাঁর অস্তিত্ব শুধুমাত্র কল্পনাতেই, তা নিয়ে বিতর্ক আছে ইতিহাসবিদদের মধ্যেই।