সোনভদ্র: সোনভদ্রে জমি বিবাদে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর ঘোষণা, নিহত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে ১৮ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের দেওয়া হবে আড়াই লাখ টাকা করে। একই সঙ্গে জমি বিবাদে উপজাতিদের ওপর হামলার জন্য দায়ী করলেন কংগ্রেসকেই। বুধবারের ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তদন্ত হবে ১৯৫২ সালের মামলা থেকে।
বুধবার সোনভদ্রে জমি বিবাদে নিহত হন ১০ জন আদিবাসী। ঘটনায় আহত হন ২৮ জন। ১৭ তারিখ আদিবাসীদের ওপর লাঠিপেটা এবং শূন্যে গুলি চালায় সোনভদ্রের গ্রাম প্রধান এবং তার সমর্থকরা। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মাথায় সোনভদ্রের উদ্দেশে রওনা হন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তবে যোগীরাজ্যের পুলিশ তাঁকে মাঝ পথেই আটকে দেয় এবং পরে আটকও করে। যার তীব্র নিন্দা করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। প্রিয়ঙ্কার পাশে দাঁড়ান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সোনভদ্রে নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে গিয়ে তিনি আক্রান্তদের আশ্বস্ত করেন, জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের কোনওভাবেই ছাড়া হবে না। একই সঙ্গে, পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আদিবাসী নাগরিকদের ঘরে ঘরে আলো, জ্বালানি, শৌচালয় ও প্রয়োজনীয় নাগরিক পরিষেবা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, “এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ইউপি সরকার। কংগ্রেস বরাবরই আদিবাসী-বিরোধী। যারা গরিবেদর জমি ভিটে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” একই সঙ্গে তিনি সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টিকেও আদিবাসীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী করেছেন। আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকেও নিশানা করেছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা সোনভদ্রে যাওয়া এবং আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ানোকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বিঁধেছেন ‘কুমিরের কান্না’ বলেও। পাল্টা যোগীকে খোঁচা দিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেন, কংগ্রেস আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর পরই ইউপি সরকার তৎপর হয়েছে। ট্যুইটে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, “সোনভদ্রে ইউপি-র মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন, এই পদক্ষেপকে আমি তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।”