ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে নিজেকে এডিএমকে সর্বাধিনায়িকা হিসেবে তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিলেন শশীকলা। আপত্তি ছিল না এডিএমকে নেতৃত্বরও। দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। পনীরসেলভম মুখ্যমন্ত্রী হলেও কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, সাধারণ সম্পাদক ও মুখ্যমন্ত্রীর পদে একজনেরই থাকা উচিত, অতএব শশীকলাই মুখ্যমন্ত্রী হন। অবশেষে এডিএমকে আজ টুইটারে জানিয়ে দিয়েছে, জল্পনাই সত্যি। জয়ললিতার বান্ধবী শশীকলা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন।
এর আগে লোকসভার সহ অধ্যক্ষ এডিএমকে-র এম থাম্বিদুরাই-ও খোলাখুলি শশীকলার মুখ্যমন্ত্রিত্বকে সমর্থন করেন। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব ও মুলায়ম সিংহ যাদবের দ্বন্দ্ব উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণ এক ব্যক্তির হাতেই থাকা উচিত।
তামিলনাড়ুর আম্মা হিসেবে পরিচিত জয়ললিতার মৃত্যুর পর ২৯ ডিসেম্বর এডিএমকে-র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শশীকলা ওরফে চিন্নাম্না। ৬২ বছরের শশীকলা ৩ দশক ধরে জলললিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন। এডিএমকে-র মধ্যে তাঁর ক্ষমতাও ছিল ঈর্ষণীয়। কিন্তু কিছুদিন আগে তাঁদের দূরত্ব বাড়ে, জয়ললিতার বাসভবন থেকে শশীকলাকে চলে যেতে হয়। কিন্তু পরে ফের কাছাকাছি আসেন তাঁরা, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে জয়ার চিকিৎসা চলার সময় শশীকলা ও তাঁর নিজের লোকেরা তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন। তাঁরা আর কাউকে জয়ার কাছে ঘেঁষতে দেননি বলে অভিযোগ।
যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিত্ব জয়ার পর শশীকলার হাতে চলে এল তাতে উদ্বিগ্ন বিরোধী দল ডিএমকে। দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি এম কে স্ট্যালিন মন্তব্য করেছেন, জয়ললিতার বাড়ির কাজকর্ম সামলাতেন, এমন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখার জন্য তামিলনাড়ুর মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। ডিএমকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।