মুম্বই: ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর মুক্তি নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই মুম্বই পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করলেন ফিল্মস অ্যান্ড প্রোডিউসরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা। ২৮ অক্টোবরই মুক্তি পাবে কর্ণ জোহরের ছবি। পুলিশের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা ও পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


কর্ণ জোহরের ধরমা প্রডাকশনের একদল সদস্য এবং পরিচালক মুকেশ ভট্ট মুম্বই পুলিশ কমিশনার দত্তাত্রেয় পড়সলগিকর এবং যুগ্ম পুলিশ কমিশনার দেবেন ভারতীর সঙ্গে দেখা করেন। এমএনএস-এর হুমকির জেরে ছবি প্রদর্শনে যাতে কোনও বাধা না পড়ে, তাই সুরক্ষাও চেয়েছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, উরি হামলার পর পাক অভিনেতাদের বয়কটের ডাক দেয় মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। পাকিস্তানি শিল্পীদের এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ারও হুমকি দেয় তারা। কর্ণের ছবি 'অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল'-এ অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। সামনের দিওয়ালিতেই মুক্তি পাবে ছবিটি। কিন্তু এমএনএস হুমকি দেয়, ছবিটি মুক্তি পেতে দেবে না তারা। যে সমস্ত মাল্টিপ্লেক্সে ছবিটি দেখানো হবে, সেখানে ভাঙচুর করা হবে বলে হুমকি দেয় তারা। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশের সঙ্গে দেখা করেন গিল্ডের সদস্যরা। উল্লেখ্য, এই গিল্ডের প্রেসিডেন্ট মুকেশ।

এদিকে সিঙ্গল-স্ক্রিন থিয়েটার অপারেটররা জানিয়েছেন, তাদের হলে দেখানো হবে না 'অ্যায় দিল.. '।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, প্রয়োজন মতো সমস্ত সিনেমা হলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে এমএনএস হুমকি দিয়েছে মাল্টিপ্লেক্সে এই সিনেমা দেখানো হলে তারা ভাঙচুর চালাবে।এমএনএস নেতা আমে খোপকার বলেন, রাজ্যের সর্বত্রই এই ছবি দেখানোর বিরোধী আমরা। যদি মাল্টিপ্লেক্স অপারেটররা দেখানোর সাহস দেখায়, তারা যেন মাথায় রাখে, দামি কাচ দিয়ে মাল্টিপ্লেক্স সাজানো হয়। আমরা বিরোধিতা চালিয়েই যাব। অর্থাত্, সরাসরি কাচ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয় তাঁরা। খোপকার আরও বলেন, শুধু এই সিনেমাই নয়, শাহরুখ খানের 'রঈস'-এর বিরোধী তাঁরা। উল্লেখ্য, ওই ছবিতে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি শিল্পী মাহিরা খান। আগামী জানুয়ারি মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা 'রঈস'-এর।

মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ চিত্রপট কর্মচারী সেনার এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট শালিনী ঠাকরে জানিয়েছেন, প্রযোজকরা নিরাপত্তা চেয়ে আশ্বস্ত হতেই পারেন। কিন্তু পাকিস্তানি তারকাদের স্ক্রিনে দেখার পর সাধারণ মানুষের যে ক্ষোভ, তা তারা সামলাতে পারবে তো! আমি বুঝতে পারছি না কেন প্রযোজকরা মানুষের অনুভূতি বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন।