নয়াদিল্লি: কার্গিল যুদ্ধের সময় অল্পের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার বোমার আঘাত থেকে প্রাণে বাঁচেন তৎকালীন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মুশারফ।
এক সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান পাক সেনার একটি ফরোয়ার্ড ঘাঁটিকে টার্গেট করে। ঠিক সেই সময় ওই ঘাঁটিতে উপস্থিত ছিলেন মুশারফ সহ সেনার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শরিফ।
ওই ঘাঁটিতে বোমা ফেলার কথা ছিল দ্বিতীয় জাগুয়ার বিমানের। কিন্তু, চালক ওই টার্গেট অঞ্চলের বাইরে বোমা নিক্ষেপ করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্বিতীয় জাগুয়ার বিমানচালককে শেষ মুহূর্তে নির্দেশ দেওয়া হয় পাক সামরিক শিবিরকে না ওড়াতে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুলতেরি সেক্টরের ওই সামরিক ঘাঁটিকে সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ লেজার টার্গেট করেছিল প্রথম জাগুয়ার যুদ্ধবিমানটি। সরকারি নথিকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদপত্রটি দাবি করেছে, ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমোডোরের নির্দেশে দ্বিতীয় জাগুয়ারটি বোমা নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ফাঁকা জায়গায় ফেলে দেয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রথম বিমানটি যখন ঘাঁটকে টার্গেট করেন, তখন সেখানে শরিফ বা মুশারফের উপস্থিতির কথা জানা ছিল না। কিন্তু, এরপরই, গোপন সূত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে খবপ আসে, ওই ঘাঁটিতেই রয়েছেন শরিফ। সঙ্গে সঙ্গে, চালকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ঘাঁটি না ধ্বংস করতে।
কিন্তু কেন পাক সামরিক ঘাঁটি না ওড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হল? প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরিফ উদ্যোগী হয়েছিলেন যাতে কার্গিল যুদ্ধের অবসান ঘটে। কারণ, এমনই সেই সময় দাবি করেছিল পাক সংবাদমাধ্যম।
ফলে, এই সময় বোমা নিক্ষেপ করলে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারত। এই আশঙ্কা করেই পাক সামরিক ছাউনি ধ্বংস না করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে বিশ্বাস।