পটনা: প্রায় পাঁচ সপ্তাহ পরে জামিন পেল বিহার বোর্ডের পরীক্ষায় প্রতারণায় অভিযুক্ত ছাত্রী রুবি রাই। এই মামলায় অভিযুক্ত রুবি সহ ২০ জন পড়ুয়াকে শীর্ষস্থানাধিকারী ঘোষণা করেছিল বিহার বোর্ড।

দ্বাদশ শ্রেণীর হিউম্যানিটিজ শাখায় রুবিকে প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে রুবির জ্ঞানের বহর বেরিয়ে পড়ে। সে বলেছিল, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে রান্নাবান্না শেখানো হয়। এরপরই বোর্ডের পরীক্ষা কেলেঙ্কারি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। গ্রেফতার করা হয় রুবিকে। কিন্তু তার গ্রেফতারি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। একজন স্কুলছাত্রীকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বিহার সরকারেরই কয়েকজন মন্ত্রী সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাঁদের বক্তব্য, রুবি বিহারের শিক্ষাক্ষেত্রে সংগঠিত অপরাধের অংশমাত্র।

বিহার পুলিশ তাকে শিশু হোমে পাঠায়। কিন্তু দুবার তার জামিনের আর্জি নাকচ হয়ে যায়।

বিহারের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড রায় দিয়েছিল যে, পরীক্ষায় প্রথম হতে রুবি অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে গুরুতর অপরাধ করেছে।

 

অবশেষে আজ বছর ১৮-র রুবির জামিন মঞ্জুর করা হল।

কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, রুবি ছাড়াও তারই কলেজের আরও ২০ জনকে একইভাবে শীর্ষস্থানাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তারাও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু রুবি ছাড়া তাদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।

রুবির কলেজের প্রিন্সিপাল ও রাজ্যের কয়েকজন শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক সহ ৩০ জনকেও গ্রেফতার করা হয়।

রুবি জানিয়েছিল, সে শুধু পরীক্ষায় পাস করতে চেয়েছিল। ক্লাসের সেরা হওয়ার কোনও আগ্রহ তার ছিল না। কিন্তু তার বাবাই তাকে প্রথম করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ। এজন্য রুবির বাবা বেশ কয়েকজন আধিকারিককে ঘুষ দেন বলে অভিযোগ।