আমদাবাদ: এবার গুজরাত ভোটে রাজনৈতিক দলগুলির রীতিমত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এল নান অফ দ্য অ্যাবাভ বা নোটা। এ বছরই প্রথম নোটা যুক্ত হয়েছে গুজরাত বিধানসভা ভোটে, ভোট টেনেছে ৫.৫১ লাখ। অর্থাৎ সাড়ে পাঁচলাখের বেশি ভোটার নোটা বোতাম টিপে জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীকে তাঁদের পছন্দ নয়।

সব মিলিয়ে গুজরাত ভোটে নোটার ঝুলিতে গিয়েছে ১.৮ শতাংশ ভোট।

ভোটে হেরে নোটাকে দুষছেন বিজেপি-কংগ্রেসের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। দাংয়ে বিজেপির বিজয় প্যাটেল কংগ্রেসের কাছে হেরেছেন মাত্র ৭৬৮ ভোটে। এই কেন্দ্রে নোটা টিপেছেন ২,১৮৪ জন। এই ভোটারদের অর্ধেকও যদি বিজেপিকে ভোট দিতেন, তাহলে বিজয় জিতে যেতে পারতেন এ যাত্রা।

আবার দেখুন গুজরাত কংগ্রেসের রীতিমত শক্তিশালী নেতা অর্জুন মোধওয়াদিয়াকে। বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজয় হয়েছে তাঁর, মাত্র ১,৮৫৫ ভোটের ফারাকে। এখানে আবার নোটায় সমর্থন জানিয়েছেন ৩,৪৩৩ জন। মোধওয়াদিয়ার দুঃখ, এই ভোটাররা নোটায় না ঝুঁকলে ফলাফল অন্যরকম হত।

সবাই অবশ্য নোটার ওপর রেগে নেই, কেউ কেউ দুহাত তুলে আশীর্বাদও করছেন তাকে। এঁদের দলে রয়েছেন বিজেপির মন্ত্রী ভুপেন্দ্রসিন চুদাসামা। তিনি জিতেছেন মোটে ৩২৭ ভোটে, যেখানে তাঁর কেন্দ্রে ২,৩৪৭ ভোট পেয়েছে নোটা। তিতিবিরক্ত এই ভোটারদের এক পঞ্চমাংশও যদি বিরোধী প্রার্থীকে বাছতেন, তাহলে তরী ডুবত তাঁর। নোটা বাঁচিয়ে দিয়েছে বিজেপির আর এক প্রার্থী সিকে রাউলজিকেও। মাত্র ২৫৮ ভোটে জিতেছেন তিনি, তাঁর কেন্দ্রে নোটা পড়েছে ৩,০৫০টি।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, শুধু বিজেপি আর কংগ্রেস ছাড়া ভোটপ্রাপ্তির হিসেবে সব্বাইকে ধরাশায়ী করেছে নোটা। বিএসপি, এনসিপি, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি- সকলে রয়েছে নোটার পরে। আপের অবস্থা তো যাচ্ছেতাইরকম খারাপ, নোটায় ভোট পড়েছে তাদের সব প্রার্থীর পাওয়া মোট ভোটের আড়াইগুণ!