নয়াদিল্লি: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির এক মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতে দোষী ঘোষিত হওয়ার পর নিজেকে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং, বাবাসাহেব অম্বেডকরের সঙ্গে তুলনা করলেন লালুপ্রসাদ যাদব। ট্যুইট করে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সভাপতি বলেছেন, ম্যান্ডেলা ও তাঁর স্তরের লোকজন নিজেদের প্রয়াসে ব্যর্থ হলে যে মর্যাদার চোখে তাঁদের দেখা হয়, সেটা পেতেন না। তাঁদের ভিলেন বলত মানুষ।




দফায় দফায় ট্যুইট করে বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আদালতের রায় তাঁর বিরুদ্ধে চালানো পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের ফল বলে দাবি করে লালু বলেন, সত্যের জয় হবেই, তিনি নিশ্চিত। ট্যুইট করেন, সংগঠিত কায়দায় পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারের মাধ্যমে সত্যকে মিথ্যা বলে দেখানো যায়, বিভ্রান্তকর বা আধা মিথ্যা বলে দেখানো যায়। তবে যা-ই ঘটুক না কেন, পক্ষপাত ও ঘৃণার পরাজয় হবেই। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবেই।




'শাসক শ্রেণি' ও 'শাসিতদের' তুলনা টেনে লালু বলেন, শোষিতরা প্রতিবাদের সুরে কথা বলবে, এটা শাসকরা কখনই পছন্দ করে না। ক্ষমতাশালীরা, শাসক সম্প্রদায় সবসময় সমাজকে ভাগ করে রাখে। নীচুতলার মানুষ অন্যায় শাসনকে চ্যালেঞ্জ করলে তাকে একতরফা শাস্তিই পেতে হয়। বিজেপি ভোট পাওয়ার জন্য বিরোধীদের সম্পর্কে জনমতে বিকৃত ধারণা ছড়াতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন লালু। এও জানিয়ে দেন, তিনি মাথা নত করবেন না, এমনকী সামাজিক ন্যায়ের স্বার্থে মরতেও প্রস্তুত। আমাকে হেনস্থা করতে পারলেও হারানো যাবে না, ট্যুইট করেন তিনি।







এদিন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪-এর মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে আজ লালু সমেত ১৬ জনকে দোষী বলে রায় দিয়েছে আদালত। রেহাই পেয়েছেন রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র ও আরও ৫ জন। লালুকে রায় ঘোষণার পর নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে। সাজা ঘোষণা হবে ৩ জানুয়ারি।
লালু পশুখাদ্য সংক্রান্ত আরেক মামলায় আগেই দোষী ঘোষিত হওয়ার ফলে লোকসভা সাংসদ পদ খুইয়েছেন, নির্বাচনে লড়াইয়ের অধিকারও হারিয়েছেন। ২০১৩-র অক্টোবরে তাঁকে ৩৭ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে দোষী বলে রায় দেয় আদালত। দু মাস জেলে কাটানোর পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান তিনি।