নয়াদিল্লি: ১৪ জন জাল সাধুর তালিকা প্রকাশ করেছে সারা ভারত নির্মোহী আখড়া। এবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ঠিক করেছে, তারাও মুখোশ খুলে দেবে জাল মৌলানাদের।

লখনউ ইদগার ইমাম ও পার্সোনাল ল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরঙ্গি মাহালি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মুসলিম সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রসঙ্গটি তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোর্ডের কাছে। ঠিক হয়েছে ইসলাম ও শরিয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ তথাকথিত মৌলানাদের নিষিদ্ধ করা হবে। অভিযোগ, ইসলামের বদনাম করছেন এঁরা।

মৌলানা রশিদের অভিযোগ, এই মৌলানারা অনেক সময় টিভির বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন। কথা বলছেন ইসলাম ও শরিয়তের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে। অথচ এ ব্যাপারে তাঁদের নিজেদেরই পরিষ্কার ধারণা নেই। তাঁদের কথাবার্তায় ধন্ধে পড়ছেন মুসলমানরা, শুরু হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক।

রশিদ জানিয়েছেন, তিনি প্রস্তাব দেবেন, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড যাতে সমস্ত মৌলানার টেলিভিশন বিতর্কে যোগ দেওয়া নিষিদ্ধ করে, তারপর নিজেরা ঠিক করে বিতর্কে যোগ দেওয়ার জন্য যোগ্য প্রতিনিধি।

তিন তালাক মামলায় ল বোর্ডের পরাজয়ের অন্যতম কারণ এই জাল মৌলানারা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শরিয়ত না বুঝেই তাঁরা এমন সব মন্তব্য করতে থাকেন যে মামলা হাত থেকে বেরিয়ে যায়।

মৌলানা, মৌলবীদের জন্য নির্দিষ্ট আইন ও নিয়মকানুন তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। কারণ তাঁর মতে, শেরওয়ানি, ফেজ টুপি পরলে আর দাড়ি রাখলেই কেউ ধর্মগুরু হয়ে যান না, ইসলামিক আইন সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের প্রয়োজন।