নয়াদিল্লি: নবজাতকের বাবা-মায়ের মনোবাঞ্ছা পূরণ করে তার নাম ঠিক করে দিলেন নরেন্দ্র মোদী! এমন সৌভাগ্য হল উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের এক দম্পতির।


এমন একটা অভাবনীয় কিছু হওয়ার স্বপ্নই  দেখেছিলেন তাঁরা। ১৩ আগস্ট কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার দু মাস আগেই মির্জাপুরের ভরত সিংহ, তাঁর স্ত্রী ঠিক করেন, ছেলে-মেয়ে যাই-ই হোক, তার নামকরণ করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা মোদী-সমর্থক, কাজেই এমন ইচ্ছে হওয়ার পিছনে অস্বাভাবিক কিছুই নেই। কন্যাসন্তানের জন্মের দিনই ভরতের স্ত্রী নিজের মনোবাসনা উল্লেখ করে মোদীকে চিঠি লিখে পাঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও)। তিনি কন্যাসন্তানদের বাঁচাতে মোদীর অবদানের কথা লেখেন, চিঠিতে অলিম্পিক্সে ভারতের মেয়েদের বিরাট সাফল্যের উল্লেখও করেন। সাতদিনের মাথায়, ২০ আগস্ট বিকালে পিএমও থেকে ফোন পান ভরত। ফোনের ওপারে স্বয়ং মোদী! নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। মেয়ের বাবা হওয়ার জন্য ভরতকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা জানান মোদী। এখানেই শেষ নয়, ভরত ও তাঁর স্তীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁদের মেয়ের নামও ঠিক করে দেন—‘বৈভবী’।

আনন্দে আত্মহারা ভরতের মুখ থেকে পুরো কাহিনি শুনে বিশ্বাসই করতে চাননি গ্রামের কেউ। তাঁকে নিয়ে মজা-মস্করা, ঠাট্টা-বিদ্রূপও চলে। ভরত পিএমও-র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানান, গ্রামবাসীরা কেউ তাঁর কথা সত্যি বলে মানছে না, তাই প্রধানমন্ত্রী যে তাঁর মেয়ের নাম রেখেছেন, সেটা যেন লিখিত ভাবে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ৩০ আগস্ট পিএমও থেকে সত্যিই একটি চিঠি পান ভরত। তাতে লেখা রয়েছে, আপনার ঘর আলো করে এসেছে একটি কন্যাসন্তান। আপনাকে দারুণ অভিনন্দন। আমার শুভেচ্চা রইল, বৈভবীর স্বপ্ন আপনারা পূরণ করুন, আপনাদের শক্তি হয়ে উঠুক ও।

ভরত বলেছেন, মেয়েদের মঙ্গলের কথা যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ভাবেন, সেজন্য তাঁকে শ্রদ্ধা করেন তাঁরা। উনি মেয়ের নাম রেখেছেন, জীবনে এটা বিরাট পাওয়া।