নয়াদিল্লি:  সত্যেন্দ্র জৈনের পর মণীশ সিসোদিয়া। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দফতরে অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল মন্ত্রিসভার আরেক মন্ত্রী।


এদিন সিসোদিয়ার প্রস্রাব-নমুনায় কিটোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায়  এবং একইসঙ্গে রক্তে সর্করার পরিমাণ অস্বাভাবিক কমার ফলে তাঁকে দুপুর ৩টে নাগাদ লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে সিসোদিয়ার ভর্তি হওয়ার খবর টুইট করে জানান কেজরীবাল।


বুধবার থেকে অনশনরত সিসোদিয়াকে দেখতে ধর্নাস্থলেই যায় চিকিৎসকদেরক দল। চিকিৎসকরা জানান, স্বাভাবিকভাবে, শরীরে কিটোনের মাত্রা শূন্য থাকার কথা। ২-এর বেশি হলেই তা বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয়।  পরীক্ষা করে দেখা যায়, সিসোদিয়ার কিটোন লেভেল ৭.৪। গতকাল তা ৬.৪ ছিল।


এর আগে, মাথাব্যথা, গা বমি, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও প্রস্রাবের সমস্যা হওয়ায়  রবিবার মধ্যরাত নাগাদ ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয় সত্যেন্দ্র জৈনকে। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আপাতত, তাঁকে গ্লুকোজ জাতীয় তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে ৮ দিন ধরে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবনে ধর্নায় বসেন জৈন।


কেজরীর ধর্না অবশ্য এখনও চলছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া ও আর এক মন্ত্রী গোপাল দাস। তাঁদের দাবি, দিল্লি প্রশাসনে কর্মরত ৪ জন আইএএস অফিসার অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছেন, তা তাঁদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। যদিও আইএএস অফিসাররা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যদিনের মতই তাঁরা কাজকর্ম করছেন, ধর্মঘটের প্রশ্নই নেই।


জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র জৈনের শরীরে কিটোনের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। কেজরীবাল টুইট করে জানিয়েছেন, মণীশ সিসোদিয়া ভাল আছেন, তাঁর অনশন আজ ৬ দিনে পড়েছে।


[embed]https://twitter.com/ArvindKejriwal/status/1008527289364164610[/embed]

১১ তারিখ থেকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের সরকারি বাসভবনে ধর্নায় বসেছেন কেজরী, শিশোদিয়া সত্যেন্দ্র জৈন ও গোপাল দাস। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রই আইএএস অফিসারদের এই ধর্মঘটের পিছনে কলকাঠি নেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোনওমতেই হস্তক্ষেপ না করায় সমস্যা আরও বেড়েছে বলে তাঁদের দাবি।


বাংলা, কর্নাটক, কেরল ও অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীদের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। যদিও কংগ্রেস কেজরির এই ধর্নাকে কটাক্ষ করেছে। গতকাল আম আদমি পার্টি মান্ডি হাউস থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করে। তবে মিছিল আটকে দেওয়া হয় সংসদ মার্গে। দিল্লি পুলিশ বলেছে, কোনও অনুমতি ছাড়াই মিছিল বার করেন আপ কর্মী সমর্থকরা।