নয়াদিল্লি:  দিল্লি পুরভোটে আপ-এর মারাত্মক হারের পিছনে নিজের ও দলের ব্যর্থতা মেনে নিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। নিজে টুইট করে একথা স্বীকারও করেছেন কেজরীবাল। তিনি টুইটে দাবি করেছেন, আর অজুহাত নয়, দিল্লি পুরসভা নির্বাচনে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিচ্ছি। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, গত দু'দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মনে হয়েছে, সত্যিটা মেনে নিতেই হবে। স্বীকার করেছেন, তাঁদের ভুল হয়েছে। তবে আত্ম-পর্যালোচনা করে এই ভুল শুধরে নেবেন বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।





তারপর তিনি লিখেছেন, আর কোনও ভুল নয়। এবার নিজেদের পাশাপাশি সকলের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সময় এসেছে তাঁদের। আর কোনও অজুহাত নয়, কাজ করতে হবে তাঁদের। কাজের মধ্যে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে, বলেছেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে। যদি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে সরে যান তাঁরা, তাহলে অন্যরা যেন অবশ্যই তাঁদের সতর্ক করেন, বলেছেন কেজরীবাল। মানুষ বেশি কিছু চায় না। তবে পরিবর্তন চলতেই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক, মন্তব্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।

এরমধ্যেই সামনে চলে এসেছে আপ-এর অন্দরের কোন্দল। কুমার বিশ্বাস শুক্রবার কেজরীবালের নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা, নির্বাচন জেতার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এখন আত্ম-মূল্যায়নের সময় এসে গেছে। দলের অন্দরে বৃহত্তর পরিবর্তন প্রয়োজন যদি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপ-এর গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে যদি নেতৃত্ব বদলও প্রয়োজন হয়, তাহলে সেটাই করতে হবে, মত কুমার বিশ্বাসের। কুমার বিশ্বাসের দাবি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে কেজরীবালের মতামত সঠিক ছিল না। দলের ভুল সিদ্ধান্তের জন্যেই আপ পঞ্জাব নির্বাচনে হেরে গেছে। দিন কয়েক আগে আপ নেতা অলকা লাম্বা এবং কপিল মিশ্রও আপ-এর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।