লখনউ: উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে গাঁটছড়া বাঁধল জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)।


সোমবার, আরএলডি সুপ্রিমো অজিত সিংহের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই গাঁটছড়ার কথা ঘোষণা করেন শরদ যাদব-নীতীশ কুমারের জেডিইউ। জোটের তৃতীয় সঙ্গী স্থানীয় বিএস-৪ দল, যার নেতা বচন সিংহ যাদব।


এদিন তাঁরা জানান, এখনও পর্যন্ত নতুন জোটের কোনও নামকরণ করা হয়নি। তবে এটা এই জোটের ভিত্তি যে সততা হবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত তিন দলই। তাঁরা জানান, আরও কিছু ছোট দলের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে।


এদিন, উত্তরপ্রদেশের বর্তমান শাসক দল সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদবকে আক্রমণ করে অজিত সিংহ জানান, প্রথমে তিনি জোট গড়ার কথা বলেও পরে পিছিয়ে যান।


অজিতের অভিযোগ, প্রথমে তাঁরা সমাজবাদী পার্টিকেও একই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জবাবে, মুলায়ম তাঁদের তাঁর দলে মিশে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। অজিতের প্রশ্ন, কেন মুলায়ম সাম্প্রদায়িক-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে জোট গড়তে চাইছেন না?


শরদ যাদব জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত হওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছেন। এমনকী, মুলায়মকে জোটের নেতা হিসেবেও তুলে ধরতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাতেও রাজি হননি ‘নেতাজি’। তিনি যোগ করেন, আগে হলে হয়ত তিনি সপা-র সঙ্গে মিশতেও রাজি থাকতেন, কিন্তু, এখন সেই সময় আর নেই।


শরদ আরও জানান, মুলায়মের আমন্ত্রণে গত ৫ নভেম্বর, সপা-র রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তিতে যোগ দিয়েছিলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব, অজিত সিংহ, জেডিএস নেতা দেবগৌড়। তখন মনে হয়েছিল বড় জোট গঠন হয়ত হবে। কিন্তু, কিছুই হয়নি বলে দাবি জেডিইউ নেতার।


দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী আবার জানান, বিহার নির্বাচনের সময় মহাজোট যখন গঠন হয়েছিল, সেই সময় মুলায়ম রাজি ছিলেন। এমনকী, নির্বাচনের পর মুলায়মরা জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও তাদের জন্য দরজা খোলা রাখা হয়েছিল।