নয়াদিল্লি: আজ ছিল সনিয়া গাঁধীর আমন্ত্রণে মধ্যাহ্নভোজ। তাতে আসেননি নীতীশকুমার, বদলে নিমন্ত্রণরক্ষায় পাঠিয়েছেন শরদ যাদবকে। তবে সনিয়ার সঙ্গে দেখা না করলেও ইঙ্গিতপূর্ণভাবে নীতীশ কিন্তু আগামীকালই দেখা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে।

কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী আজকের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য, বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোটবদ্ধ করা। সেই চেষ্টার গুড়ে এক বস্তা বালি ফেলে ভোজে অনুপস্থিত খোদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও এক সময়ের ঘোষিত মোদী বিরোধী নীতীশ কুমার। অথচ সনিয়ার সঙ্গে দেখা না করলেও যেভাবে আগামীকালই তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন, তাতে অন্য সমীকরণের সম্ভাবনা ফের ভেসে উঠেছে। জেডিইউ অবশ্য দাবি করছে, এই বৈঠক নেহাতই আনুষ্ঠানিক, ব্যক্তিগত কোনও ব্যাপারে তাঁদের আলোচনা হবে না।

সনিয়ার বৈঠকে নীতীশ না থাকলেও অন্য বিরোধী নেতানেত্রীদের অবশ্য অভাব ছিল না। ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, এনসিপির শরদ পওয়ার, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইযের এস সুধাকর রেড্ডি, ডি রাজা। এছাড়া ছিলেন রাহুল গাঁধী, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকার্জুন খার্গে, এ কে অ্যান্টনি। এসপির অখিলেশ যাদব, রামগোপাল যাদব, নরেশ অগ্রবালের পাশাপাশিই ছিলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। ডিএমকের কানিমোঝি, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লাও ছিলেন বৈঠকে।

তাঁদের আপাতত লক্ষ্য, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মতভাবে বিরোধী প্রার্থী নির্বাচন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে ঐকমত্য না হলে প্রার্থী বাছতে একটি ছোট কমিটি গঠন করা যেতে পারে।