বিন্দিয়া ও তাঁর স্বামী জতিন রাম লুধিয়ানা থেকে গত সপ্তাহে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছিলেন লুধিয়ানা থেকে। গন্তব্য ছিল তাঁদের বিহারের গ্রাম। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই বয়স ২০-র কিছু বেশি। গত বুধবার তাঁরা আম্বালা শহরে পৌঁছন। সেখানে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন বিন্দিয়া। জন্মের পরই মারা যায় সদ্যোজাত। আম্বালাতেই মৃত সন্তানের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁরা।
বছর দুয়েক আগে বিন্দিয়ার সঙ্গে জতিন রামের বিয়ে হয়। এটাই ছিল তাঁদের প্রথম সন্তান। জতিনের সঙ্গে গত বছরই লুধিয়ানায় এসেছিলেন বিন্দিয়া। জতিন লুধিয়ানার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
লকডাউনেক পর পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ তাঁদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আম্বালা ও যমুনানগরে স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে পায়ে হেঁটে , আবার কেউ কেউ গাড়ি ভাড়া করে রওনা দিয়েছিলেন।
জতিন বলেছেন, স্পেশ্যাল ট্রেনের জন্য রেজিস্ট্রেশন না করতে পেরে তিনি ও তাঁর নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পায়ে হেঁটে আম্বালায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। আসলে সঙ্গে থাকা যত্সামান্য টাকাপয়সা এর পরবর্তী পর্বের যাত্রার কাজে লাগবে অনুমান করে তাঁরা আম্বালায় হেঁটে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
জতিন জানিয়েছেন, বিন্দিয়া এমনিতেই শারীরিকভাবে দু্র্বল। কারণ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার যে পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন ছিল, তা পাননি। লকডাউনের কারণে কাজ চলে যাওয়ায় খুব বেশি টাকাপয়সা তাঁর ছিল না।
১০০ কিমি হেঁটে যখন তাঁরা আম্বালা শহরে পৌঁছন, তখন বিন্দিয়ার প্রসব বেদনা শুরু হয়। পুলিশ বিন্দিয়াকে হাসপাতালে পৌঁছতে জতিনকে সাহায্য করে। সেখানে বিন্দিয়া সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সেই সন্তান বাঁচেনি।
আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের একটি এনজিও তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করেছে এবং খাবার দাবারও দিয়েছে।