নয়াদিল্লি:  তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় এখন মন্দা চলছে। উইপ্রো, কগনিজেন্টের পর এবার ইনফোসিসও তাঁদের মিড এবং সিনিয়র পর্যায়ের কর্মীদের হাতে পিঙ্ক স্লিপ ধরাতে পারেন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সংস্থার অর্ধ বার্ষিক পারফর্ম্যান্স রিভিউ করা হবে। সেই সময়ই প্রায় একশো কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রসঙ্গত, ব্যয় কমানোর জন্যে উইপ্রো, কগনিজেন্টেও সম্প্রতি একই পথে হেঁটেছে। কিন্তু এরমধ্যে ইনফোসিসের তরফে একটি আশ্চর্যজনক ঘোষণাও করা হয়েছে। আগামী দু বছরে তারা তাদের সংস্থায় প্রায় দশ হাজার মার্কিন কর্মী নিয়োগ করবে। এমনকি মার্কিন মুলুকে চারটি কেন্দ্রও খুলবে ইনফোসিস, মূলত ট্রাম্প সরকারের কঠোর ভিসা নীতির মোকাবিলায়।

সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইনফোসিসে  বছরে দুবার পারফর্ম্যান্সের মূল্যায়ন হয়। এবং যে কর্মীরা ক্রমাগত কম নম্বর পাবেন মূল্যায়নের সময়, তাঁদের ওপরই নেমে আসতে পারে কোপের খাঁড়া। সেই মুখপাত্র যদিও ছাঁটাইয়ের সংখ্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি, তবে গোপন সূত্রে খবর সংখ্যাটা প্রায় একশো হবে। তবে ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতিবছরই এই মূল্যায়ন করা হয়, এবং প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব পারফর্ম্যান্স খতিয়ে দেখে সংস্থা তাঁদের প্রোমশনের সিদ্ধান্ত নেন।

গত সপ্তাহেই কগনিজেন্ট তাদের সংস্থার ডিরেক্টর, অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যায়ের আধিকারিকদের ভিআরএস নিতে বাধ্য করেছে। তাঁদের হাতে ছ থেকে ন মাসের বেতর ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উইপ্রোতেও প্রায় ছশো কর্মীকে সম্প্রতি ছাঁটাই করা হয়। যদিও প্রথমে শোনা গিয়েছিল সংখ্যাটা প্রায় দু হাজারে পৌঁছবে। একসময় ভারতে সবচেয়ে বেশি চাকরির সুযোগ মিলত এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ধাক্কায় কার্যত সেই ট্রেন্ডও বদলে গেছে। এমনকি হালের মার্কিন নীতিও প্রভাব ফেলেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।