শ্রীনগর:  জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ফের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। মৃত দুই লস্কর জঙ্গি। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক নিরীহ নাগরিকেরও। সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের। দেশের মাটিতে প্রথমবার আইএস হামলার প্রেক্ষাপটেই ফের সন্ত্রাস ফিরল জম্মু-কাশ্মীরে। সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপুরায়। জঙ্গিদের আত্মগোপনের খবর পেয়ে অবন্তিপুরার পাদগামপোরা গ্রামে অভিযান চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে প্রথমে গ্রামের দু’টি বাড়িকে চিহ্নিত করে ফেলেন জওয়ানরা। এরপর শুরু হয় অপারেশন। দলে ছিলেন সিআরপিএফ, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের জওয়ানরা। নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেতেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানরা। কয়েক ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ২ লস্কর জঙ্গির। অপারেশন শেষ হতেই উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি। নাশকতার আশঙ্কায় বানিহাল ও শ্রীনগরের মধ্যে রেললাইন বরাবর বাড়ানো হয় সেনার নজরদারি। অবন্তিপুরায় সেনা অভিযান চলাকালীনই সীমান্তপার সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের সেনাকর্তার সঙ্গে কথা বলেন ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে ভাটিয়া। সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর থেকে এখনও পর্যন্ত, জম্মু-কাশ্মীরে পাক জঙ্গি ও পাক সেনার হামলায় জওয়ান ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে ৪০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি কুলগামে জঙ্গি হানায় মারা যায় দুই সেনা জওয়ান। ১৪ ফেব্রুয়ারি হাজিনে পাক জঙ্গি হানায় ৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়। ওই একই দিনে কুপওয়াড়ায় ১ মেজরের মৃত্যু হয়। গত ২২ নভেম্বর, মাচ্ছিল সেক্টরে মৃত্যু হয় ৩ জওয়ানের। ৩০ নভেম্বর, জম্মুর নাগরোটায় জঙ্গি হানায় ২ মেজর সহ ৭ সেনার মৃত্যু হয়। ১৭ ডিসেম্বর, কাশ্মীরের পাম্পোরে সেনা কনভয়কে নিশানা করে জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় তিন জওয়ানের। সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে জম্মু-কাশ্মীরে? কবে আবার শান্ত হবে ভূস্বর্গ? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।