জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বীরত্বকে সারা দেশ কুর্ণিশ জানাচ্ছে। আপনাদের বীরত্বের কাহিনী ভারতের ঘরে ঘরে ধ্বনিত হচ্ছে।
জওয়ানদের ইচ্ছাশক্তি পাহাড়ের মতো অটল, লাদাখে সব চক্রান্ত ব্যর্থ করেছে সেনারা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরণ বীরদের জন্য-বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। তিনি বলেছেন, আমাদের সংকল্প হিমালয়ের মতোই সুউচ্চ। আপনাদের সামর্থ্য আপনাদের চোখেই দেখা যায়। আপনাদের সাহস আপনারা সেখানে মোতায়েন, তার থেকেও অনেক উঁচু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরা দেন। তা দেশবাসীকে দিনভর কাজ করতে প্রেরণা যোগায়। আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প আপনাদের ত্যাগ, বলিদান ও পুরুষার্থের কারণে আরও শক্তিশালী হয়।
তিনি বলেছেন, আপনারা ও আপনাদের সহকর্মীরা যে বীরত্ব দেখিয়েছেন, তাতে সারা বিশ্বের কাছে ভারতের শক্তির বার্তা পৌঁছে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বংশীধারী কৃষ্ণের পুজো করি। আবার সুদর্শন চক্রধারী অবতারকেও আদর্শ মনে করি। এ ধরণের আক্রমণে ভারত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
মোদি বলেছেন, দুর্বল কখনও শান্তির উদ্যোগ নিতে পারে না। শান্তির পূর্ব শর্তই হল সাহসিকতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশ এখন জল, স্থল ও আকাশে নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে। এর একমাত্র লক্ষ্য মানব কল্যাণ। তিনি বলেছেন, বিশ্বযুদ্ধই হোক বা শান্তি সবাই দেশের বীরদের পরাক্রম দেখেছে এবং বিশ্বশান্তির জন্য আমাদের প্রয়াসও সবাই দেখেছেন।
মোদি আজ সকালে লাদাখ পৌঁছন এবং ১১ হাজার ফুট উঁচুতে দুর্গম এলাকা নীমুতে যান। সেখানে সেনা, বায়ুসেনা ও আইটিবিপি আধিকারিকরা তাঁকে পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
গালওয়ানে শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন,
১৪ কোরের বীরত্বের কাহিনী সবাই জানে। দেশের সব প্রান্তের বীররা গালওয়ানে নিজেদের শৌর্য দেখিয়েছেন ।গালওয়ান উপত্যকায় শহিদ জওয়ানদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ।আপনাদের বীরত্ব পুরো বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতের শক্তি কতটা। আপনাদের হাতে দেশরক্ষার ভার যখন রয়েছে, তখন পুরো দেশ নিশ্চিন্ত ।
নাম না করে চিনকে বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রসারণবাদের দিন শেষ। এটা উন্নয়নের কাল। সম্প্রসারণবাদী শক্তিগুলি হয় হেরে গিয়েছে বা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। ইতিহাস এর সাক্ষী।