তারা ইতিমধ্যেই ৪ এপ্রিল এনআইটি কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী কার্যকলাপ দিনদিন বাড়ছে। ফলে তারা গভীর সঙ্কটে রয়েছে, এমনকী প্রাণহানির আশঙ্কা করছে। তাই তারা বাড়ি ফিরে যেতে চায়।
ঘটনা হল, টি-২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের জেরে কলেজ ক্যাম্পাসে স্থানীয় পড়ুয়াদের সঙ্গে বাইরে থেকে পড়তে যাওয়া ছাত্রদের বিবাদকে কেন্দ্র করে সেখানে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ভারতের পরাজয়ে উল্লাস প্রকাশ করে স্থানীয় ছেলেরা বাজি ফাটালে বাইরে থেকে যাওয়া পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানায়। দু তরফের বিবাদ, সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। ৩১ মার্চ থেকে ক্যাম্পাস সরগরম রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসে সীমা সুরক্ষা বলের জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় পুলিশও নামে। শনিবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার ফের খোলে। কিন্তু গতকাল আবার উত্তাপ ছড়ায় ক্যাম্পাসে। বাইরের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে মিছিল করার চেষ্টা করে। তাদের দাবি, ক্যাম্পাসে তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। তারা বাড়ি ফিরে যেতে চায়। পুলিশ তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ করে ওই পড়ুয়ারা।
এই প্রেক্ষাপটেই সেখানে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর (টেকনিকাল শিক্ষা) সঞ্জীব শর্মা, ডেপুটি ডিরেক্টর ফজল মেহমুদ ও এনআইটি-র পরিচালন বোর্ডের চেয়ারম্যান এমজে জারাবিকে সেখানে পাঠানো হয়। বাইরের পড়ুয়াদের ক্ষোভ-বিক্ষোভের কারণ খতিয়ে দেখতে তাঁদের পাঠায় মন্ত্রক।
তাঁদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বাইরের পড়ুয়ারা এও বলে, তাদের পরীক্ষার খাতা ‘নিরপেক্ষতা’র স্বার্থে কাশ্মীরের বাইরের রাজ্যের পরীক্ষকদের দিয়ে দেখাতে হবে।
এদিকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এদিন সুরাটে জানান, তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইরের পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকবে বলে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন মেহবুবা, জানান স্মৃতি।
ভিডিওতে দেখুন ক্যাম্পাসের মধ্যে ছাত্রের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি