নয়াদিল্লি: এবার থেকে সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ায় চড়লে আপনি শুনবেন 'জয় হিন্দ'!

এয়ার ইন্ডিয়া সম্পর্কে যাত্রী মহলে ধারণা মোটেই উজ্জ্বল নয়। বিশেষত, উড়ান যাত্রায় বিলম্বের সময় সংস্থার কর্মীরা কখনও কখনও রূঢ়, অসংবেদনশীল আচরণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই প্রেক্ষাপটে সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী লোহানির পরামর্শ, বিমান রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে ‘জয় হিন্দ’ বলুন ফ্লাইট কমান্ডার।

তিনি বলেছেন, উড়ান চলাকালে ক্যাপ্টেনের উচিত মাঝেমধ্যে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং প্রথম সম্ভাষণের শেষে তিনি ‘জয় হিন্দ’ বললে দারুণ সাড়া পাওয়া যেতে পারে। সংস্থার কর্মীদের প্রতি সাম্প্রতিক বার্তায় এ কথা বলেছেন তিনি। লোকসানে চলা সংস্থাটি যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে লাভের মুখ দেখতে পারে, সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তাঁর আরও পরামর্শ, যাত্রীদের সঙ্গে ‘ভদ্র, বিনম্র’ আচরণ করতে হবে। ‘হাসিমুখে’ কথা বললে ফল মিলবে।

 

এয়ার ইন্ডিয়া সম্পর্কে যাতে যাত্রীদের ‘ভাল ধারণা’ গড়ে ওঠে, সেটা সুনিশ্চিত করতে কর্মীদের অবহিত করার চেষ্টা করেছেন লোহানি। সাম্প্রতিক অতীতে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে যাতে বিতর্কে জড়িয়েছে বিমান সংস্থাটির নাম। শারীরিক প্রতিবন্ধী যাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, খারাপ মানের খাবার পরিবেশন করা, কর্মীদের মধ্যে ঝগড়ার জেরে বিমান ছাড়তে দেরি হওয়া----অভিযোগের তালিকাটা বেশ বড়। এই প্রেক্ষাপটেই লোহানি মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, বিমানে ওঠা বা বিমান থেকে নামার সময় যাত্রীদের নমস্কার করুন কেবিন ক্রু-র সদস্যরা। মুখে হাসি ছড়িয়ে বিন্দুমাত্র বিরক্তি না এনে যাত্রীদের সঙ্গে মিষ্টি ব্যবহার করুন তাঁরা।

 

লোহানির আরও পরামর্শ, বিমান যখন মাটিতে দাঁড়িয়ে বা বিমান রওনা দিতে আধ ঘণ্টার বেশি দেরি হচ্ছে, সে সময় এয়ারপোর্ট ম্যানেজার ও স্টেশন ম্যানেজারের উচিত দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে দিকে খেয়াল রাখা। তাঁদের সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে। যাত্রীদের বোর্ডিং, লজিংয়ের সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে, তাঁদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ করে যেতে হবে।